বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাঁচ দিন পর আবার মৃত্যু

  •    
  • ২৮ মার্চ, ২০২২ ১৮:০১

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৩ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়ে পাঁচ দিন পর আবারও মৃত্যু দেখল দেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৩ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৮১ জন। রোববারের তুলনায় রোগী কিছুটা বেড়েছে। ওইদিন নতুন করে ৪৩ জন রোগী শনাক্ত হয়, যা দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।

গত একদিনে ৯ হাজার ৩৯৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ।

এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৩৬৩ জনে দাঁড়িয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হওয়ায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ১১৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

সরকারি হিসাবে গত একদিনে সেরে উঠেছেন আরও ৯৯৩ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৭৮ হাজার ৭৯৭ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।

রোগীশূন্য ৫০ জেলাগত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৫০টিতে কারও করোনা শনাক্ত হয়নি। তার আগের দিন ৫৪ জেলা ছিল রোগীশূন্য।

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত নতুন রোগীদের মধ্যে ৭১ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। আর তাদের মধ্যে ৬৫ জনই ঢাকা জেলার।

টানা চার সপ্তাহ ধারাবাহিকভাবে শনাক্ত ও মৃত্যু কমছেচলতি মাসে চার সপ্তাহ ধরে দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু ধারাবাহিকভাবে কমেছে। গত এক সপ্তাহে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪০ শতাংশ এবং মৃত্যু ৮৩ শতাংশ কমেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২১ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ রোববার পর্যন্ত গত এক সপ্তাহে সারাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭৩ জন। আগের সপ্তাহে এই সংখ্যা ছিল ১ হাজার ১২৩ জন। অর্থাৎ আগের সপ্তাহের চেয়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৪০ দশমিক ১ শতাংশ। এই সময়ের মধ্যে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আগের সপ্তাহে মৃত্যু হয়েছিল ছয়জনের। এক সপ্তাহে মৃত্যু কমেছে ৮৩ দশমিক ৩ শতাংশ।

দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। করোনার প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এই পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতোটাই বেড়ে যায় যে শনাক্ত হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।

দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর করোনা দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্ত হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। স্বস্তির খবর হলো করোনার তৃতীয় ঢেউও নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

এ বিভাগের আরো খবর