বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আনসারের অপরাধের বিচারে দুই আদালত

  •    
  • ২৮ মার্চ, ২০২২ ১৬:৩৭

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বাহিনীর সদস্যরা অপরাধ করলে দুটি আদালত থাকবে- একটি সংক্ষিপ্ত আনসার ব্যাটালিয়ন আদালত, আরেকটি বিশেষ আনসার ব্যাটালিয়ন আদালত।’

আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যদের বাহিনীর ভেতরে সংঘটিত অপরাধের জন্য দুটি আদালত গঠনের বিধান রেখে আনসার ব্যাটালিয়ন আইন-২০২২ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে আইনটির খসড়া অনুমোদন করা হয়।

পরে বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘১৯৯৫ সালে একটা আনসার ব্যাটালিয়ন আইন ছিল। সে আইনটি বর্তমান প্রয়োজনে সংশোধন করতে গিয়ে দেখা গেল, অনেক বেশি পরিবর্তন করতে হয়। সেজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিল এটা আর পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই, নতুন করে আনসার ব্যাটালিয়ন আইন-২০২২ প্রণয়ন করা হোক। এ পরিপ্রেক্ষিতেই ওনারা এটি নিয়ে এসেছেন।

‘এখানে ৩৩টি ধারা আছে। এখানে কতগুলো বিষয় রাখা হয়েছে। যেমন- মহাপরিচালক থাকবেন, সরকারের নিয়ন্ত্রণে ব্যাটালিয়ন পরিচালনা করবেন। মহাপরিচালক আইনের বিধি-প্রবিধি এবং সরকারের নির্দেশনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আদেশ জারি করবেন। সরকার এর সাংগঠনিক কাঠামো ও পদ নির্ধারণ করে দেবে। নিয়োগ ও চাকরির শর্তও নির্ধারণ করে দেবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ব্যাটালিয়নের কোনো সদস্য রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক কোনো সংগঠনের সদস্য হতে পারবেন না। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বা কোনো সংবাদপত্র বা কোথাও তথ্য প্রকাশ করতে পারবেন না। আমাদের ডিসিপ্লিনারি আপিল বা অসদাচারণের জন্য যেমন দু ধরনের দণ্ড আছে- লঘুদণ্ড ও গুরুদণ্ড তাদের ক্ষেত্রেও সেটা হবে। বিভাগীয় মামলায় গুরুদণ্ডের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বা বিভাগীয় সচিবের কাছে এবং লঘুদণ্ডের বিরুদ্ধে মহাপরিচালকের কাছে আপিল করা যাবে।

‘এখানে একটি বিশেষ জিনিস রয়েছে। সেটা হলো ব্যাটালিয়নের কোনো সদস্য অপরাধ করলে বিচারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এখানে দুটি আনসার ব্যাটালিয়ন আদালত থাকবে। একটি সংক্ষিপ্ত আনসার ব্যাটালিয়ন আদালত আরেকটি বিশেষ আনসার ব্যাটালিয়ন আদালত। এটা ১৮ ধারাতে রাখা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সাধারণ অপরাধের বিচার হবে সংক্ষিপ্ত আনসার ব্যাটালিয়ন আদালতে। বাহিনীর অস্ত্র, গোলাবারুদ, পোশাক বা যানবাহনের যন্ত্রাংশ ইত্যাদি পরিকল্পিতভাবে নষ্ট করার জন্য সংক্ষিপ্ত আদালতে সর্বোচ্চ ৩ বছরের কারাদণ্ড ও আর্থিক ক্ষতির ক্ষেত্রে সম পরিমাণ অর্থদণ্ড করা যাবে। অন্যান্য অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ৯০ দিনের কারাদণ্ড দেয়া যাবে। এটা হলো জেনারেল ক্রাইমের জন্য যেমন চুরি করা বা নষ্ট করার জন্য।

‘আর যদি শৃঙ্খলা সম্পৃক্ত অপরাধ করে বা বিদ্রোহের চেষ্টা করে বা প্ররোচনা ও ষড়যন্ত্র করলে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড বা মিনিমাম ৫ বছরের জেল হবে। এটা হলো বিশেষ আনসার আদালতে। যেগুলো বড় অপরাধ সেগুলোর বিচার এখানে হবে।’

এই দুই আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগও রাখা হয়েছে নতুন আইনটিতে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আরেকটা বিষয় থাকবে। আনসার ব্যাটালিয়ন আদালত যে রায় দিবে তার বিরুদ্ধে আনসার ব্যাটালিয়ন আপিল ট্রাইব্যুনাল থাকবে। এখানে তারা আপিল করতে পারবেন। এগুলো অনেকটা আর্মির কোর্ট মার্শালের মতো। তাদের বাহিনীর ভেতরে যে অপরাধ সেগুলোর জন্য। আনসারের লোক বাইরে গিয়ে মারামারি করলো বা অন্য কিছু করলো সেগুলো কিন্তু নরমাল কোর্টে বিচার হবে।

‘মহাপরিচালক সরকারের অনুমোদনক্রমে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পরিচালক মর্যাদার তিনজন কর্মকর্তার সমন্বয়ে সংক্ষিপ্ত আনসার কোর্ট করবে। এটা মাইনর অফেন্সের জন্য। আর সরকার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একজন, আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের একজন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর একজন কর্মকর্তার সমন্বয়ে বিশেষ আনসার আদালত করবে। এটা গুরুতর অপরাধের জন্য।’

এ বিভাগের আরো খবর