যশোর শহর যুবলীগ কর্মী হোসাইন মোহাম্মদ রুম্মান হত্যা মামলায় দলের আরেক কর্মী আলিম হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শেখহাটি বাবলাতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোমবার বেলা ১১টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আলিম হোসেন শহরের শেখহাটি বাবলাতলা ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন যশোর ডিবি পুলিশের ওসি এএসপি রুপণ কুমার সরকার।
এএসপি রুপণ কুমার সরকার বলেন, ‘কোতোয়ালি থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের একটি টিম যৌথভাবে বাবলাতলায় অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করে। তার দেয়া তথ্য মতে হত্যায় ব্যবহৃত একটি বার্মিজ চিতাচাকু উদ্ধার করা হয়।’
তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আলিম জানিয়েছে, বিরামপুর সাকিনে অজ্ঞাত স্বামী-স্ত্রীর বিয়েবিচ্ছেদের ঘটনায় মধ্যস্ততা করে তারা ৬০ হাজার টাকা পান। সেই টাকা ভাগ-বাটোয়ারাসহ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাবলাতলার ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ হোসেনের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন পূর্বপরিকল্পনা অনুসারে রুম্মান ও শাকিলকে কুপিয়ে জখম করে।
এর আগে গত শুক্রবার শহরের পুরাতন কসবা কাঁঠালতলা এলাকায় রাত ১১টার দিকে যুবলীগ কর্মী রুম্মানকে কুপিয়ে জখম করে দলীয় প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় আহত হয়েছেন যুবলীগের আরেক কর্মী আরিফ হোসেন শাকিল। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথেই রুম্মানের মৃত্যু হয়। আহত ২৬ বছরের শাকিল গুরুতর অসুস্থ হয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় পরদিন শনিবার নিহতের ভগ্নিপতি আলীমুজ্জামান কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।
৩১ বছর বয়সী নিহত হোসাইন মোহাম্মদ রুম্মানের বাড়ি শহরের টালিখোলা মাদ্রাসা এলাকায়।