বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বৈঠক ডাকার খবরেও পুঁজিবাজার ‘নিষ্প্রভ’

  •    
  • ২৮ মার্চ, ২০২২ ১৫:৩৫

নানা সময় এই ধরনের বৈঠককে কেন্দ্র করে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দেয়। তবে গত কয়েক মাসের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, এই বৈঠক শেষে ফলপ্রসূ তেমন কোনো ঘোষণা আসে না। আর ঘোষণা এলেও বাজারে প্রভাব পড়ে না। এ কারণে বিনিয়োগকারীরা এখনও অনেকটাই সতর্ক।

বাজার মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির বৈঠক ডাকার খবরেও পুঁজিবাজারে খুব একটা উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি। যদিও বেশ কয়েক দিন পর দর কমা কোম্পানির তুলনায় দর বেড়েছে, এমন কোম্পানির সংখ্যা দেখা গেছে বেশি। লেনদেনও কিছুটা বেড়ে হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি হয়েছে।

আগের দিন ১১ পয়েন্ট সূচক পতনের দিন বিপুল পরিমাণ কোম্পানির শেয়ারদর দিনের নিম্নতম সীমায় লেনদেন হয়। এ কারণে বিনিয়োগকারীদের বেশির ভাগই ছিলেন হতাশ।

সোমবার লেনদেন শুরুই হয় সূচক বেড়ে। এক ঘণ্টার মধ্যে সূচক ৩১ পয়েন্ট বেড়ে যাওয়ার পর বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ তৈরি হয়। আগের দিনই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি জানায়, তারা বুধবার বাজার মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বসবে।

নানা সময় এই ধরনের বৈঠককে কেন্দ্র করে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দেয়। তবে গত কয়েক মাসের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, এই বৈঠক শেষে ফলপ্রসূ তেমন কোনো ঘোষণা আসে না। আর ঘোষণা এলেও বাজারে প্রভাব পড়ে না। এ কারণে বিনিয়োগকারীরা এখনও অনেকটাই সতর্ক।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলার দিন থেকে পুঁজিবাজারে ধস নামে। টানা আট দিনে ৩৮২ পয়েন্ট সূচক পতনের পর বিএসইসি দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ নির্ধারণের পাশাপাশি পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা জরুরি বিনিয়োগের নির্দেশ দেয়।

এরপর ব্যাংক ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড পরিচালনাকারী সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বসে বিএসইসি। দুই পক্ষই বাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়।

কিন্তু ঘোষণামতো বিনিয়োগ বাড়েনি। ১০ ও ১৫ মার্চ এক হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলেও ২০ মার্চ তা নেমে আসে ৬১৬ কোটি টাকায়।

এর পর থেকে ধীরে ধীরে বিনিয়োগ বাড়তে থাকে। সোমবার লেনদেন হয়েছে ৯২৪ কোটি ৫৭ লাখ ১ হাজার টাকা, যা আগের দিন ছিল ৮৫৮ কোটি ৮৮ লাখ ৭১ হাজার টাকা।

সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের চিত্র

দিন শেষে বেড়েছে ১৭৬টি কোম্পানির দর, কমেছে ১৫৩টির। আর অপরিবর্তিত থাকে ৫০টির দর।

এদিন সবচেয়ে ভালো করেছে সাধারণ বিমা খাত। এই খাতের ৪০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৩৩টিরই। কমেছে ৫টির।

ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে ২১টির, কমেছে ১০টির দর।

প্রধান খাতগুলোর মধ্যে বস্ত্র ও প্রকৌশল খাতেও বেড়েছে বেশির ভাগ শেয়ারের দর। ছোট খাতগুলোর মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি ও চামড়া খাতের প্রায় সব কটি শেয়ারের দর বেড়েছে।

দারুণ লভ্যাংশ ঘোষণার পরেও ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর তলানিতেই রয়ে গেছে। এই খাতে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে প্রাইম ব্যাংকের শেয়ারদর, যেটি শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৭৫ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এই ঘোষণার পরদিন শেয়ারদরে যোগ হয়েছে ৭০ পয়সা।

দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে স্বল্প মূলধনির প্রাধান্য

সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এমন ১০টি কোম্পানির পাঁচটিই স্বল্প মূলধনি। এর মধ্যে এক দিনে দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়েছে দুটি কোম্পানি। এগুলো হলো বিডি ল্যাপস ও পেপার প্রসেসিং। প্রথম কোম্পানির দর বেড়েছে ৮.৭৪ শতাংশ, দ্বিতীয়টির ৮.৭৩ শতাংশ।

৮ শতাংশের বেশি বেড়েছে আরও দুটি কোম্পানির দর। এগুলোর মধ্যে একটি হলো সাধারণ বিমা খাতের বিএনআইসিএল এবং অপরটি কাগজ খাতের মনোস্পুল পেপার, যেটিও স্বল্প মূলধনি।

৭ শতাংশের বেশি বেড়েছে বহুজাতিক কোম্পানি লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টের দর। ৬.৭৯ শতাংশ বেড়েছে সাধারণ বিমা খাতের আরেক কোম্পানি কনটিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের দর।

রহিম টেক্সটাইল, তমিজ উদ্দিন টেক্সটাইল ও এপেক্স ফুটওয়্যার ছিল পরের তিনটি অবস্থানে। এগুলো স্বল্প মূলধনি কোম্পানি। এর মধ্যে দুটির দর বেড়েছে ৬ শতাংশের বেশি, একটির বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি।

দশম স্থানে ছিল বিডিকম, যে কোম্পানির দর এক মাসেরও কম সময়ে দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ার পর টানা কমছিল।

আরও আটটি কোম্পানির দর ৪ শতাংশের বেশি, ১২টির দর ৩ শতাংশের বেশি, ৩৩টির দর ২ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

২ শতাংশ ছুঁয়ে পতন ৩০টিরও বেশি

সবচেয়ে বেশি দরপতন হয়েছে বিদ্যুৎখাতের কোম্পানি কেপিসিএল, যেটির মেয়াদ দুই বছর বাড়ানোর কারণে বৃহস্পতিবার ছিল বিক্রেতাশূন্য। রোববার আরও প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে লেনদেন শুরু হয়। তবে দিন শেষে আগের দিনের সমান দাম ৩৫ টাকায় চলে আসে।

আজ কোম্পানিটির মেয়ারদর কমার সুযোগ ছিল ৭০ পয়সা, কমেছেও ততটাই। বৃহস্পতিবার ৩৫ টাকায় লাখ লাখ শেয়ারের ক্রয়াদেশ থাকলেও আজ ৩৪ টাকা ৩০ পয়সায় ক্রেতাই ছিল না।

প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, খুলনা পেপার মিলস, এটলাস, ইমাম বাটন, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস এবং বিডি থাই ফুডস ছিল দরপতনের শীর্ষ দশে। এগুলোর দম কমেছে ২ শতাংশের কাছাকাছি।

একদিনে যে পরিমাণ দর কমা সম্ভব, ততটাই কমেছে প্রায় ৩০টি কোম্পানির, যা আগের দিনও ছিল ৫০টিরও বেশি।

এ বিভাগের আরো খবর