পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্ত্রীসহ ছেলে ও মেয়েকে হত্যার দায়ে মো. আলমগীর হোসেন নামে এক আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।
আদালতে আসামির পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন হাফিজুর রহমান খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস, শবনম মুশতারী ও তারিকুল ইসলাম হীরা।
রায়ে হাইকোর্ট বলেছে, ‘আসামি আলমগীর হোসেন মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন। পশুর চেয়ে ঘৃণিত পন্থায় স্ত্রী ও দুই নিষ্পাপ শিশুসন্তানকে হত্যা করেছেন। তিনি সমাজের জন্য বিপজ্জনক। তাই আসামি আলমগীর হোসেন আদালতের অনুকম্পা পেতে পারেন না।’
মামলা থেকে জানা যায়, ‘পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার উত্তর পাঠাকাটা গ্রামের গ্রাম্য চিকিৎসক মো. আলমগীর হোসেন বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ২০০৮ সালের ২২ জুন নিজ স্ত্রী হাফিজা বেগম, ১১ বছরের ছেলে আশরাফুল, তিন বছরের মেয়ে জামিলাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেন।’
এ ঘটনায় হাফিজা বেগমের ভাই মঠবাড়িয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় ২০১৬ সালে আসামি মো. আলমগীর হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। পরে তার মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। এ ছাড়া মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেন আসামি।
উচ্চ আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন আসামি মো. আলমগীর হোসেন। এরপর জামিনে মুক্ত হয়ে তিনি পলাতক থাকেন।