মাগুরা সদর উপজেলার কছুন্দি ইউনিয়নে দ্বিতীয় শ্রেণির শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত সেই পুলিশ সদস্য আব্দুর রউফের নামে মামলা হয়েছে।
শিশুটির দাদি রোববার রাতে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন।
মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে অভিযুক্ত ৭০ বছরের আব্দুর রউফকে।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন।
তিনি জানান, আসামি শিশুর প্রতিবেশী। ঘটনা গত বুধবারের, তবে তার পরিবার বিষয়টি জানতে পারে বৃহস্পতিবার। এরপর নিউজবাংলাসহ বেশ কয়েকটি প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে পুলিশ সুপার তাকে খোঁজ নিতে বলেন।
শিশুর বাবা ঢাকায় সবজি বিক্রি করেন। মা না থাকায় শিশুটি তার দাদির কাছেই থাকে। এ ধরনের ঘটনা তারা পুলিশকে জানাতে ভয় পায়। তবে পুলিশের পরামর্শেই তারা রোববার থানায় মামলা করেন।
আসামি সম্পর্কে ওসি বলেন, ‘শুনেছি আগে তিনি পুলিশে চাকরি করতেন। মাগুরা থানাতেও দায়িত্বে ছিলেন। আগেও তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।’
‘এখন তিনি পলাতক। শুনেছি সব সময় নেশাগ্রস্ত থাকেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ওই শিশুর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আসামি তার সঙ্গে খারাপ কাজের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল। তাই বিষয়টি নিশ্চিত হতে শিশুটিকে চিকিৎসকের কাছে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে।’
শিশুর দাদি জানিয়েছেন, ঘটনার পর আব্দুর রউফ গত শুক্রবার তাকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দিতে বলেন। কিন্তু তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে তাকে ফিরিয়ে দেন।
এজাহারে বলা হয়, গত ২৩ মার্চ বিকেলে শিশুটি বাড়ির আঙিনায় খেলছিল। এ সময় আব্দুর রউফ মোল্লা তার ছাগল হারিয়েছে জানিয়ে তাকে খুঁজে দেয়ার কথা বলে শিশুটিকে ডেকে নেয়। এরপর মাঠের পাশে নিয়ে শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ ঘটনা কাউকে না বলতে ওই শিশুকে ভয়ও দেখান আসামি।
তবে আসামি আব্দুর রউফের পরিবার এই ঘটনাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে।
রউফের বড় ছেলে রিপন মোবাইলে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার বাবার বয়স ৭০-এর ওপরে। তিনি হাঁটতে পারেন না, সব সময় কাঁপতে থাকেন। আমরা ভাইরা সবাই বাড়ির বাইরে থাকি। মা-বাবা বাড়িতে থাকেন। এই বয়সে এ রকম একটা অভিযোগ ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু না। গ্রাম্য দলাদলির কারণে এটা রটানো হয়েছে বলে আমরা মনে করছি।’