দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা অর্ধদিবস হরতালের প্রভাব পড়েনি চট্টগ্রামে।
সোমবার নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, গণপরিবহন চলাচল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত সব চলছে স্বাভাবিক নিয়মে।
সকালে সন্তানকে বায়েজিদ এলাকার একটি বিদ্যালয়ে পৌঁছে দিতে বের হন কুসুম রানি। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হরতালের কথা পত্রিকায় দেখেছি, তবে বাইরে তো দেখি সব স্বাভাবিক। বাচ্চাকে স্কুলে দিয়ে আসছি, কোনো সমস্যা হয়নি।’
হরতালের প্রভাব না থাকলেও নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে।
হরতালের সমর্থনে নগরীর নিউ মার্কেট এলাকায় কয়েক দফা মিছিল বের করার চেষ্টা করেন জোটের নেতাকর্মীরা। তবে পুলিশি বাধায় তা প্রতিবারই ভেস্তে গেছে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) চট্টগ্রামের সভাপতি অশোক শাহা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকাল থেকে যতবারই মিছিল করেছে পুলিশ বাধা দিয়েছে। তবু বাধা উপেক্ষা করে আমরা কর্মসূচি শেষ করেছি। এক জায়গায় একত্রিত হলেই পুলিশ এসে ঝামেলা শুরু করছিল।
‘তবে আমরা হরতাল সফল হয়েছে মনে করছি। এটা এই অর্থে যে, আমরা যে কারণে হরতাল ডেকেছি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি- এই ডাকে জনগণ আমাদের সমর্থন দিয়েছে। আমরা ২০ দিন ধরে শহরজুড়ে প্রচার চালিয়েছি, আমরা বুঝেছি যে, সর্বস্তরের মানুষের সমর্থন আমাদের সঙ্গে আছে।’
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) চৌধুরী রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওরা রাস্তায় মিছিল করার চেষ্টা করেছিল, আমরা সরিয়ে দিয়েছি। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল, কোনো সমস্যা হয়নি।’