নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্য বৃদ্ধি এবং গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বৃদ্ধির পদক্ষেপ বন্ধের দাবিতে ডাকা অর্ধদিবস হরতালে পুলিশি হামলার অভিযোগ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় পল্টনে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে মোর্চাটি। একই দিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সমাবেশ করবে জোটের জেলা কমিটিগুলো।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হক বলেন, সমাবেশের শুরু থেকেই পুলিশের আচরণ উসকানিমূলক ছিল। শেষ মুহূর্তে কর্মসূচি ঘোষণার আগে পুলিশ ব্যারিকেড তুলে দিয়েছে; হামলা চালিয়েছে।
তার দাবি, হামলায় ২০ জনের মতো নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের কয়েকজনকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
সাইফুল জানান, সারা দেশে অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এসবের প্রতিবাদেই মঙ্গলবার সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এ সমাবেশ থেকে পরবর্তী দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুরু থেকেই আমাদের পক্ষ থেকে কিন্তু এ রকম কোনো ইনটেনশন ছিল না। শেষের দিকে ছাত্র ইউনিয়নের ছেলেরা এসে যানবাহনে হাত দিচ্ছিল। তাদের সরিয়ে দিতে গেলে আমাদের ওপর তারা ক্ষিপ্ত হয়, ইটপাটকেল ছোড়ে।
‘পরে তাদের সরিয়ে দিতে লাঠিচার্জ করা হয়। ওটা আসলে লাঠিচার্জও বলা যায় না, ধাওয়া দেয়া হয়। একসময় জলকামান আর তিন রাউন্ড টিয়ারশেল ব্যবহার করা হয়েছে।’
তার দাবি, হরতালকারীদের ইট-পাটকেলে তিন-চারজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।