বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পল্টনে পুলিশের সঙ্গে হরতালকারীদের সংঘর্ষ

  •    
  • ২৮ মার্চ, ২০২২ ১১:৪০

পল্টন এলাকায় হরতাল সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়েন হরতালকারীরা।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বৃদ্ধির পদক্ষেপ বন্ধের দাবিতে অর্ধদিবস হরতালে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।

রাজধানীর পল্টন এলাকায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।

হরতাল সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জের পাশাপাশি জলকামান ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়েন হরতালকারীরা।

বাম জোটের সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের ধাক্কাধাক্কির মধ্য দিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়।

জোটের নেতা-কর্মীরা পল্টন মোড়ের দৈনিক পূর্বাঞ্চলের অফিসের সামনে অবস্থান নেন। অপরদিকে পুলিশ সদস্যরা তার উল্টো দিকে অবস্থান নেন।

ওই সময় পুলিশের সঙ্গে জোটের নেতা-কর্মীদের সাত থেকে আট মিনিট ইট-পাটকেল নিক্ষেপ চলেছে। পরে পুলিশ ধাওয়া দিলে নেতা-কর্মীরা পল্টন মোড় ছাড়েন।

বাম জোটের নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকে সারা দেশে আমরা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ঢাকাসহ সারা দেশে হরতাল পালন করেছি। শান্তিপূর্ণভাবে হরতালের শেষ পর্যায়ে যখন আমাদের সমন্বয়ক কর্মসূচি ঘোষণা করবেন, তখন আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করা হলো।

‘আমাদের অনেক নেতা-কর্মীকে আহত করেছে। বাম জোটের কেন্দ্রীয় নেতা বাচ্চু মিয়াসহ অনেকেই আহত হয়েছেন। সাইফুল ইসলামসহ বাম দলের অনেক নেতাই পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত হয়েছেন।’

তার অভিযোগ, ভোর ছয়টার দিকে মিরপুরে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মোহাম্মদপুরে বাম জোটের হরতালে হামলা চালিয়েছে। সারা দেশে অন্তত ২০ থেকে ২৫টি জেলায় পুলিশ ও ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতা-কর্মীরা বাম জোটের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুরু থেকেই আমাদের পক্ষ থেকে কিন্তু এ রকম কোনো ইনটেনশন ছিল না। শেষের দিকে ছাত্র ইউনিয়নের ছেলেরা এসে যানবাহনে হাত দিচ্ছিল। তাদের সরিয়ে দিতে গেলে আমাদের ওপর তারা ক্ষিপ্ত হয়, ইটপাটকেল ছোড়ে।

‘পরে তাদের সরিয়ে দিতে লাঠিচার্জ করা হয়। ওটা আসলে লাঠিচার্জও বলা যায় না, ধাওয়া দেয়া হয়। একসময় জলকামান আর তিন রাউন্ড টিয়ারশেল ব্যবহার করা হয়েছে।’

তার দাবি, হরতালকারীদের ইট-পাটকেলে তিন-চারজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।

এর আগে অর্ধদিবস হরতাল শুরুর সময় সকাল ৬টা থেকে পল্টন মোড়ে অবস্থান নেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা-কর্মীরা। তারা পল্টনে রাস্তের মাঝে ব্যারিকেড দিয়ে অবস্থান নেন।

ব্যারিকেডে পল্টন ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে পুলিশ এসে ব্যারিকেড তুলে নেয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) মো. আব্দুল আহাদ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে এখনই কোনো বক্তব্য দিতে পারব না।’

এদিকে পুলিশি বাধায় রাস্তার মাঝ থেকে সরে গিয়ে পল্টন মোড়ে সমাবেশ করে বাম জোট। এতে জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হক বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল করছি। এখন পর্যন্ত আমরা কোনো সহিংসতায় জড়াইনি। আশা করছি পুলিশ কোনো উসকানিমূলক আচরণ করবেন না।’

সারা দেশে বিভিন্ন জায়গায় বাম জোটের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে বলে সমাবেশে দাবি করেন নেতারা।

সমাবেশে সিপিবি নেতা আব্দুল্লাহিল ক্বাফী বলেন, ‘সারা দেশে বিভিন্ন জেলায় আমাদের বাম জোটের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেছে সরকারি দলের লোকেরা।

‘বিভিন্ন জায়গায় আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে হরতাল বানচালের চেষ্টা করা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর