নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বৃদ্ধির পদক্ষেপ বন্ধে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা অর্ধদিবস হরতালের তেমন প্রভাব পড়েনি বরিশালে।
সকাল থেকে নগরীতে ছোট যানবাহন, বাস স্বাভাবিকভাবেই চলছে। বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এবং রূপাতলী বাস টার্মিনাল থেকে শিডিউল অনুযায়ী সব বাস ছেড়ে গেছে। স্বাভাবিক রয়েছে লঞ্চ চলাচলও।
নগরীর কাকলীর মোড় এলাকায় সোমবার সকাল থেকে অবস্থান নেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) নেতা-কর্মীরা। সেখান থেকে তারা নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
বাসদের বরিশাল জেলা শাখার সদস্যসচিব মনীষা চক্রবর্তী বলেন, ‘সাধারণ মানুষ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ডাকা হরতাল সমর্থন করলেও পুলিশ তা ভন্ডুল করার চেষ্টা করেছে।’
এ ছাড়া জোটের অন্য দলগুলো নগরীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে হরতালের পক্ষে বিক্ষোভ করে।
বরিশাল নগরীর বাংলাবাজার এলাকার গাজী শাওন বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি, তাতে এই হরতালে আমার মৌন সমর্থন রয়েছে। তবে এর তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি বরিশালে।’
থ্রি হুইলারের চালক মো. মাইনুল বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলখানার মোড় ও কাকলীর মোড় এলাকায় বাধার সম্মুখীন হলেও নগরীর আর কোথাও হরতালের সমর্থনে কোনো কিছু দেখিনি।’
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক লোকমান হোসেন বলেন, ‘হরতাল সফল করতে বাম সংগঠনগুলো কিছু জায়গায় মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছিল। আমরা জনগণের ভোগান্তি এড়াতে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছি। নগরীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’