বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হরতাল: কাঠ-ব্যানার জ্বালিয়ে শাহবাগ অবরোধ

  •    
  • ২৮ মার্চ, ২০২২ ০৯:৫৪

শাহবাগ মোড়ের প্রতিটি দিক অবরোধ করে অবস্থান নিয়েছেন হরতাল সমর্থকরা। তারা রাস্তার ওপর কাঠ, ব্যানার পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন দাম এবং গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বৃদ্ধির পদক্ষেপ বন্ধে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা হরতালের সমর্থনে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীরা।

সকাল আটটা থেকে তাদের এই অবরোধ শুরু হয়। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের টিএসসি থেকে মিছিল শুরু করেন তারা।

শাহবাগ মোড়ের প্রতিটি দিক অবরোধ করে অবস্থান নিয়েছেন হরতাল সমর্থকরা। তারা রাস্তার ওপর কাঠ, ব্যানার পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

হরতালের বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি শিমুল কুম্ভকার বলেন, ‘করোনার দুই বছরে জনগণের আয় কমেছে। এই মুহূর্তে দ্রব্যমূল্য বাড়লেও কিন্তু আয় বাড়েনি।

‘এই অবস্থায় আমরা যদি প্রতিবাদ না করি, তাহলে দামের এই ঊর্ধ্বগতি থামবে না। তাই বাম জোটের ডাকা হরতালে আমরা সমর্থন দিয়ে এখানে অবস্থান করছি। আমরা শান্তিপূর্ণ হরতাল পালন করছি।’

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রাজিব কান্তি রায় বলেন, ‘দামের এই ঊর্ধ্বগতি যদি এভাবে চলতে থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্নের দিকে এগোবে। এই ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বাম জোটের ডাকা হরতালের সমর্থনে আমরা এখানে অবস্থান করছি।’

গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহিম আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আজ এই শাহবাগ এক টুকরো বাংলাদেশে। এখানে দাঁড়িয়ে আমরা মানুষের কথা বলছি; মানুষের ক্ষুধার কথা বলছি। এই রোদের মধ্যেও সাধারণ মানুষ যখন দাঁড়িয়ে আমাদের কথা শোনে, তখন আমরা বুঝতে পারি, আমরা ঠিক পথেই আছি। ‘মানুষ যখন খেতে পারছে না, কিনতে পারছে না, তখন মন্ত্রীরা বলছে, বাংলাদেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। এটি লজ্জার, ঘৃণার। আমাদের এই হরতাল মানুষ মারার হরতাল না। এই হরতাল মানুষের কথা বলার হরতাল। আমরা সেই জায়গা থেকে রাস্তায় নেমেছি।’

যানজট

এদিকে হরতাল সমর্থকদের অবরোধে টিএসসি, মৎস্যভবন, কাঁটাবন ও আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

শাহবাগ মোড় অবরোধের কারণে আমেনা বেগম তার বৃদ্ধ মাকে নিয়ে হেঁটে মোড় পার হচ্ছিলেন। তিনি যাবেন গুলিস্তান।

আমেনা বলেন, ‘আমার একটু কষ্ট হলেও তাদের দাবি ঠিকই আছে। যেভাবে সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে, আমরা খাব কী? আমরা তো গরিব মানুষ।’

রুহুল নামের একজন ছোট মেয়েকে কাঁধে নিয়ে মোড় পার হচ্ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমার কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তারা তো মানুষের জন্যই কাজ করছে।

‘যাদের একটু কষ্ট হচ্ছে তারা আমার মধ্যবিত্ত পরিবারের হলে আশা করি এই স্বল্প সময়ের ভোগান্তির চেয়ে দাম বৃদ্ধির ভোগান্তিই তাদের কাছে বেশি হবে।’

বারডেম হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে কামরাঙ্গীরচরের গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন সাহেলা বেগম।

তিনি বলেন, ‘তাদের কাজ ঠিকই আছে। ২০০ টাকা করে সয়াবিন কিনে খেতে হচ্ছে। এখন মনে হয় ১৫০ টাকা।

‘মধ্যবিত্ত মানুষ তো কিনে খেতে পারছে না। আমার একটু কষ্ট হলেও আমি এটি মেনে নিচ্ছি। তাদের আন্দোলনের মাধ্যমে যদি একটু দাম কমে, তাহলেই খুশি।’

এ বিভাগের আরো খবর