চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক সড়কে দুপাশের পাহাড় কাটতে চায় চট্টগ্রাম পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি।
আসন্ন বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধস এড়ানো জন্য এই প্রাথমিক প্রস্তাবে একমত কমিটি। তবে সভায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রতিনিধি অনুপস্থিত থাকায় এ প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়নি।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে রোববার বিকেলে তার কার্যালয়ে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৩ তম সভা হয়।
সেখানে নতুন করে পাহাড় কাটার বিষয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করারও প্রস্তাব দেন বিভাগীয় কমিশনার।
ধসে পড়ার ঝুঁকি কমাতে এই সড়কের দুপাশের পাহাড়গুলো থেকে আরও ২ লাখ ঘন ফুট পাহাড় কাটার প্রস্তাব পরিবেশ অধিদপ্তরে জমা দিয়েছিল সিডিএ। এর মধ্যে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটিও এসব পাহাড় কাটার কথা বলছে।
সভায় চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘আমার মনে হয়, যথাযথভাবে এই পাহাড় কাটা হয়নি। যদিও এই পাহাড় কাটা নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর সিডিএকে জরিমানা করেছে, কিন্তু ১০ কোটি টাকা জরিমানা করার পরও পাহাড়গুলো এত খাড়া কেন? এটা তো সোজা হওয়ার কথা। ঠিকঠাক হওয়ার কথা ছিল।
‘পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। আমরা একমত, এমন ব্যবস্থা করা দরকার যেন পাহাড়ে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা বা মাটি ধসে মানুষের মৃত্যু না হয়।’
পাহাড় কর্তন বা যে কোনো পরিবর্তন করতে হলে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন লাগে জানিয়ে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘এটার অথরিটি হচ্ছেন আইন মোতাবেক প্রধানমন্ত্রী। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব যেহেতু অবগত, তাই এই বিষয়ে কারিগরি বিশেষজ্ঞ কমিটি আমরা গঠন করব। তারা নির্ধারণ করবে কতটুকু পাহাড় কাটতে হবে।’
এর আগে সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে সিডিএর অনুমোদনের চেয়ে ৬৯ হাজার ২১৯ দশমিক ৭২০ ঘন ফুট বেশি পাহাড় কাটা হয় বলে প্রমাণ পায় পরিবেশ অধিদপ্তর। পাশাপাশি হিল কাটিং ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানের নির্দেশনা না মেনে ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে খাড়া করে পাহাড় কাটারও প্রমাণ মেলে।
এ জন্য গত বছরের ২৯ জানুয়ারি পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে শুনানি শেষে সিডিএকে ১০ কোটি ৩৮ লাখ ২৯ হাজার টাকা জরিমানা করে।