মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে অভিযুক্তকে আরও ৬ মাস কারাগারে থাকতে হবে।
রোববার দুপুর তিনটার দিকে মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তহিদুল ইসলাম ওই রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক থাকায় আটকের দিন থেকে তার সাজা শুরু হবে বলেও জানায় আদালত।
মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ কে এম আসাদুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন কামরুল হাসান।
সাজাপ্রাপ্ত জাব্বারুল ইসলাম মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের এজেল হকের ছেলে।
মামলায় উল্লেখ আছে, সাহারবাটি গ্রামের জহিরুল ইসলামের স্ত্রী শাকিলা খাতুনকে প্রতিবেশী জাব্বরুল ফোন করে কটু মন্তব্যসহ তার কিছু আপত্তিকর ছবি নিজের মোবাইলে আছে বলে দাবি করেন। কথা অনুযায়ী কাজ না করলে ওইসব ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেন তিনি।
সেই ভয়ে শাকিলা তার স্বামী-সংসারের কথা চিন্তা করে জাব্বারুলের কথায় রাজি হয়ে তার সঙ্গে মোটরসাইকেলে চড়ে ২০২০ সালের ৬ জুন বেলা ১১টার দিকে ভাটপাড়া থেকে নওয়াপাড়া গ্রামে বরকত আলীর বাড়ি যান। কিন্তু সেখানে নিয়ে শাকিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা শুরু করেন জব্বারুল। এ সময় শাকিলা চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে।
ওই ঘটনায় শাকিলা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গাংনী থানায় একটি মামলা করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দেন।
এই মামলায় ৬ জন সাক্ষ্য দেয়ার পর আসামি জাব্বারুলকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত এবং দণ্ড ঘোষণা করে।