বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুনে বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

  •    
  • ২৭ মার্চ, ২০২২ ২৩:০৭

বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হৈমন্তী দত্ত নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি আগেও দেশের বাইরে পারফর্ম করেছি। তবে এবার আমার কাছে এটি ভিন্ন ছিল। স্বাধীনতা দিবসে নিজের দেশকে অন্য ভূমিতে তুলে ধরার মধ্যে দিয়ে অনেক বেশি গর্ব কাজ করছে।’

ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনে শহরে সাবিত্রী বাই ফুলে পুনে বিশ্ববিদ্যালয়ে রোববার বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীরা।

স্বাধীনতা দিবসে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে বিকেল পাঁচটায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের পরিচালক বিজয় খারে, আইসিসিআর, পুনের পরিচালক নিশি বালা ও সাবেক পরিচালক অনুজা চক্রবর্তী।

পুনে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া বৃত্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীরা প্রথম বারের মত এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর) বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি বছর বৃত্তি দিয়ে থাকে। পুনেতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী যারা আইসিসিআর বৃত্তি নিয়ে এসেছে তাদের একটি সংগঠন রয়েছে, যেটি বাংলাদেশ স্টুডেন্ট কাউন্সিল পুনে নামে পরিচিত। এই সংগঠন থেকেই ২৬ মার্চ পালনের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে একটি প্রামাণ্যচিত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ২৬ মার্চের তাৎপর্য তুলে ধরা হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা তুলে ধরে তার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের পরিচালক বিজয় খারে। তিনি বলেন, ‘তিনি যেভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন, সেইভাবেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারত বন্ধু ও ভাইয়ের মতো। বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের জিডিপি ভারত থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। তোমাদের সরকার তোমাদের শিক্ষার হার বাড়ানোর জন্য অনেক ব্যয় করে। তোমরা দেশের সম্পদ। তোমরা দেশে গিয়ে দেশ উন্নত করবা।’

দুই দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেন সুসম্পর্ক থাকে সে বিষয়েও গুরুত্ব দেন বিজয় খারে। বলেন, ‘আমরা এখানে যেমন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সব সমস্যা ও ভালো জিনিসগুলো দেখাশোনা করি, তেমনি বাংলাদেশেও যেন একই রকমভাবে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের বিষয়গুলো দেখা হয় সেই আশা করি।’

বিজয় খারে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারত বন্ধু ও ভাইয়ের মত। বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের জিডিপি ভারত থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা বাংলাদেশের কথা ভাবলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা প্রথমে মাথায় আসে।’

তিনি বলেন, ‘তোমরা দেশের সম্পদ, তোমরা দেশে গিয়ে দেশ উন্নত করবা। তোমাদের সরকার তোমাদের শিক্ষার হার বাড়ানোর জন্য অনেক ব্যয় করে।’

আইসিসিআর পুনে এর বর্তমান পরিচালক নিশি বালা এমন আয়োজনের জন্য বাংলাদশি শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানান।

সাবেক পরিচালক অনুজা চক্রবর্তী নিজে বাঙালি জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে তার আশা বেশি। ছাত্ররা যেন দেশে গিয়ে দেশকে সেবা করে ও দেশের মর্যাদা রক্ষা করে- এই আশা করেন তিনি।

আলোচনা শেষে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা দেশের সংস্কৃতি ও যুদ্ধের ইতিহাস বিভিন্ন গান ও নাচের মাধ্যমে তুলে ধরে।

পুনেতে আইসিসিআর এর স্কলারশিপে প্রায় ৫৫ শিক্ষার্থী পুনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন কলেজে অধ্যায়ণরত।

স্বাধীনতা দিবস উদযাপনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়।শিক্ষার্থীরা সবাই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হৈমন্তী দত্ত নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি আগেও দেশের বাইরে পারফর্ম করেছি। তবে এবার আমার কাছে এটি ভিন্ন ছিল। স্বাধীনতা দিবসে নিজের দেশকে অন্য ভূমিতে তুলে ধরার মধ্যে দিয়ে অনেক বেশি গর্ব কাজ করছে।’

সংগঠনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বকারী অনুপম দাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি খুব বেশি আনন্দিত এমন একটি আয়োজনে অংশ নিয়ে। গত কয়েকদিন অনেক বেশি পরিশ্রম করেছি আমরা।’

দেশের বাইরে থাকলেও দেশের প্রতি ভালোবাসা আছে জানিয়ে অনুপম বলেন, ‘এখানে যারা আছেন সবাই দেশকে ভালোবাসে। খুব অল্পদিনের সিদ্ধান্তে আমরা এমন একটি আয়োজন করতে পেরে আনন্দিত। আশা করব, ভবিষ্যতে এমন ধারা অব্যাহত থাকবে।’

প্রতিনিধিত্বকারী আপন গুহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এখানে যারা বাংলাদেশি আছি তারা সবাই দেশের সবকিছুকে অনেক বেশি মিস করি। বিশেষ করে জাতীয় দিবসগুলোতে দেশের হয়ে অন্য জায়গায় এভাবে তুলে ধরার মধ্যে অনেক বেশি আনন্দ কাজ করছে।’

*প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আইচুক ত্রিপুরা ও জুয়েল পাংখোয়া

এ বিভাগের আরো খবর