আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধকে বেচাকেনা করে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে রোববার বিকেলে বিএনপির সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের ইতিহাস পালিয়ে পাশের দেশে আশ্রয় নেয়ার। অথচ বিএনপির অনেক নেতা দেশের ভেতরে থেকে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন। এই সরকার পতনের আন্দোলনের সূচনাও হবে চট্টগ্রাম থেকে।
‘জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন, কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। সেদিন আওয়ামী লীগের কেউ স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি, এটা তাদের ব্যর্থতা। তারা আত্মসমর্পণ করেছিল। দেশের মানুষ মেজর জিয়ার ঘোষণা শুনে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগ অনুপস্থিত, অথচ মেজর জিয়ার সৈনিকরা উপস্থিত ছিল।’
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আজ আমাদের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রে যেতে দেয়া হয়নি। সেখানে গেলে অনেক বেশি লোক সমাগম হতো। আমরা প্রত্যেক বছর চট্টগ্রামে ২৭ মার্চ পালন করব। আগামী বছর কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রের সামনে পালন করব। আমরা আজ লাখো মানুষ নিয়ে পলোগ্রাউন্ডে সমাবেশ করছি। আর তারা দুই-তিন শ লোক নিয়ে বেতারকেন্দ্রের সামনে বসে আছে।’
সমাবেশে বক্তব্য দেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক, গোলাম আকবর খোন্দকার, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, শামা ওবায়েদ, ডা. শাহাদাত হোসেন, আবুল হাশেম বক্কর, এ এম নাজিম উদ্দীন, জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দীন।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপি নেতারা সমাবেশে যোগ দেন। যুবদল, ছাত্রদলসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।