বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ওসি-এসআইয়ের নামে চাঁদাবাজির মামলা

  •    
  • ২৭ মার্চ, ২০২২ ২২:০৯

স্থানীয় ইউপি সদস্য মুরাদ মোল্লা অভিযোগ করেন, চাঁদা না দেয়ায় তার ভাইকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। থানায় নির্যাতনও করা হয়েছে।

ফরিদপুরের সালথা থানার ওসি ও এসআইয়ের নামে আদালতে চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগে মামলা করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মুরাদ মোল্লা।

জেলার ৬ নম্বর আমলি আদালতে রোববার এই মামলার আবেদন করেন মুরাদ। তা আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

বাদীর আইনজীবী ইব্রাহিম হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মুরাদ মোল্লা গট্টি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।

মামলায় তিনি সালথা থানার ওসি মো. আশিকুজ্জামান ও উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হান্নানের বিরুদ্ধে মারধর, চাঁদাবাজি ও হুমকি-ধমকির অভিযোগ তুলেছেন।

এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনের আগে ওসি আশিকুজ্জামান তার কাছে বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে নির্বাচন করতে দেয়া হবে না বলে হুমকি দেন। সে সময় তিনি ওসিকে ৭৫ হাজার টাকা দেন। পরে আরও ১ লাখ টাকা চাইলে তা তিনি দেননি।

বাদীর অভিযোগ, এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তার নামে তিনটি মিথ্যা মামলা দেয়া হয়। গত ১৪ মার্চ মধ্যরাতে তার ভাই জিহাদকে ঘর থেকে তুলে থানায় নিয়ে যান ওসি। পরদিন তিনি থানায় গিয়ে এর কারণ জানতে চাইলে ওসি তাকে ২৫ হাজার টাকা দিতে বলেন। না দিলে মিথ্যা মামলা দিয়ে জিহাদকে কারাগারে পাঠানোর হুমকি দেন। তিনি টাকা না দিয়ে ফিরে যান।

মুরাদ আরও অভিযোগ করেন, ওসির নির্দেশে এসআই হান্নান তার ভাই জিহাদকে থানায় নির্যাতন করেন। মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। জামিন নিয়ে গত ২৩ মার্চ জিহাদ মুক্ত হলেও মারধরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এমনকি চলাফেরাও করতে পারছিলেন না। পরে তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনও চিকিৎসাধীন জিহাদ।

এসব অভিযোগ মিথ্যা জানিয়ে গত রোববার বিকেলে সালথা থানায় সংবাদ সম্মেলন করেন ওসি আশিকুজ্জামান।

তিনি জানান, গত ১৩ মার্চ সকালে গট্টি ইউনিয়নের বাসুয়ারকান্দি গ্রামে দুই পক্ষ পূর্ববিরোধের জেরে সংঘর্ষে জড়ায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নিলেও রাতে ফের এক পক্ষ আরেক পক্ষের ওপর হামলার প্রস্তুতি নেয়। এ খবর পেয়ে তিনি ও অন্য পুলিশ সদস্যরা গিয়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেন। তবে হামলাকারীরা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। পুলিশ তখন ধাওয়া দিয়ে জিহাদসহ কয়েকজনকে আটক করে। ঘটনাস্থল ধেকে দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়ে।

ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলাও হয়। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আসামি জিহাদ যখন থানায় ছিলেন তখন তার ভাই মুরাদ সেখানে আসেন। সেখানে হেফাজতে মারধরের মিথ্যা অভিযোগ তোলেন তারা।

এ বিষয়ে ফরিদপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘সালথা থানার বিষয়ে আমরা অবগত। ওই আসামি জিহাদ জামিনে মুক্ত হলে জেলগেটে তার পরিবার বিক্ষোভ করে। পরে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করে। তবে আদালতে হওয়া মামলার ব্যাপারে কোনো নির্দেশ আমরা এখনও পাইনি। নির্দেশ পেলে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয়া হবে।’

জেলা পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, ‘আসামিপক্ষের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই এ ঘটনায় জেলা পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। দোষী প্রমাণিত হলে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরাধ করলে কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর