পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রাইম ব্যাংক বেশ কয়েক বছরের টানা সংকট থেকে বের পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ আয় করে এক দশকের ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে রোববার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ তার বিনিয়োগকারীদের জন্য শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৭৫ পয়সা বা সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী ২০১১ সালেই কেবল এর চেয়ে বেশি ২০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল ব্যাংকটি। সে বছর ২০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়া হয়।
২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটি শেয়ার প্রতি আয় করেছে ২ টাকা ৮৭ পয়সা, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
২০১৬ সালে ব্যাংকটি শেয়ার প্রতি ২ টাকা ১৩ পয়সা আয় করার পর টানা চার বছর আয় ছিল ২ টাকার নিচে।
প্রাইম ব্যাংকের আয়-ব্যয়ের হিসাব ও লভ্যাংশের ঘোষণা
২০২০ সালের ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে প্রাইম ব্যাংক শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৬৩ পয়সা আয় করেছিল। অর্থাৎ এক বছরে আয় বেড়েছে ১ টাকা ২৪ পয়সা বা ৭৬ দশমিক ০৭ শতাংশ। ওই বছর শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৫০ পয়সা বা ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল ব্যাংকটি।
আয়ের পাশাপাশি সম্পদমূল্যও বেশ বেড়েছে প্রাইম ব্যাংকের। গত ডিসেম্বর শেষে শেয়ারের বিপরীতে ব্যাংকটির সম্পদ দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা ২৬ পয়সা, যা এক বছর আগে ছিল ২৫ টাকা ১৫ পয়সা।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত যে কয়টি ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে কেবল আইসিবি ইসলামিক ছাড়া সবগুলোই আয় বাড়াতে পেরেছে। বেশিরভাগ ব্যাংকই লভ্যাংশও বেশি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যারা প্রাইম ব্যাংকের লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে আগামী ১৯ এপ্রিল শেয়ার ধরে রাখতে হবে। অর্থাৎ সেদিন হবে ব্যাংকটির রেকর্ড ডেট। এই লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ১২ মে।
প্রাইম ব্যাংকের বর্তমান শেয়ার দর ২২ টাকা ১০ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারের মূল্যের ৭ দশমিক ৯১ শতাংশ পাওয়া যাবে লভ্যাংশ হিসেবে। এই লভ্যাংশ ব্যাংকটির আমানতের সুদহারের চেয়ে অনেকটাই বেশি। আমানতের এখন সর্বোচ্চ সুদহার ৬ শতাশং।
গত এক বছরে প্রাইম ব্যাংকের শেয়ার দর ১৫ টাকা থেকে ২৮ টাকা পর্যন্ত উঠানামা করেছে।