বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুঁজিবাজারে আবার হোঁচট, ২ শতাংশের নীতিতে ‘রক্ষা’

  •    
  • ২৭ মার্চ, ২০২২ ১৭:৪০

৫০টিরও বেশি কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে দিনের সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত। এতে বোঝা যায়, ২ শতাংশের সীমা না থাকলে সূচকের পতন আরও বেশি থাকতে পারত।

সূচক এক দিন বাড়ে তো কয়েক দিন কমে। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এই বৃত্তে থাকা পুঁজিবাজারে সপ্তাহের শুরুটা আবার হলো হতাশা দিয়ে।

বেশির ভাগ শেয়ারের দরপতন, লেনদেনে গতিহীনতা, পতনের সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে বিপুলসংখ্যক শেয়ারের লেনদেন হওয়া- রোববার এই তিনটি বিষয় দেখল বিনিয়োগকারীরা।

দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ থেকে আবার তা ১০ শতাংশ করা হচ্ছে- এমন খবরে গত সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সূচকের ব্যাপক পতন হয়। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি থেকে জানানো হয়, এমন কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই। এ বিষয়টি নিশ্চিত করার পর সোমবার শেষবেলায় দরপতন থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয় পুঁজিবাজার। মঙ্গলবার হয় বড় উত্থান।

এরপর বুধবার আবার দরপতন হয়, বৃহস্পতিবার একেবারে শেষ বেলায় বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে সূচকে কিছু পয়েন্ট যোগ হয়।

নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের শুরুটা সূচক বেড়েই শুরু হয়েছিল। এরপর কয়েক ঘণ্টায় দেখা যায় উত্থান-পতন। বেলা ১টার পর দেড় ঘণ্টায় সূচক পড়ে যায় আবার।

৫০টিরও বেশি কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে দিনের সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত। এতে বোঝা যায়, ২ শতাংশের সীমা না থাকলে সূচকের পতন আরও বেশি থাকতে পারত।

দিনশেষে ১১৭টি কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে হারায় ২১৯টি কোম্পানি। দর ধরে রাখতে পারে ৪২টি।

প্রধান খাতগুলোর মধ্যে সবগুলোতেই বেশির ভাগ শেয়ারদর হারিয়েছে। এমনকি বন্ধ হয়ে যাওয়া দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নতুন করে উৎপাদন শুরুর মতো সুখকর তথ্যেও কেপিসিএলের শেয়ার একপর্যায়ে দর হারিয়ে ফেলে।

বৃহস্পতিবার ৩৫ টাকা দরে শেয়ার বিক্রিতে বিনিয়োগকারীরা রাজি না থাকলেও সেই কোম্পানির শেয়ার একপর্যায়ে বিক্রি হয়েছে ৩৪ টাকা ৫০ পয়সা দরে। অবশ্য শুরুতে এই কোম্পানির শেয়ার বিক্রি হয়েছে ৩৮ টাকা ৩০ পয়সায়।

সূচকের পতন ১১ পয়েন্ট হলেও বিপুলসংখ্যক শেয়ারদর হারিয়েছে এক দিনে যত বাড়া সম্ভব ততই

কেবল একটি কোম্পানি দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে লেনদেন শেষ করতে পেরেছে। সেটি হলো লিবরা ইনফিউশন। তবে এর চেয়ে বেশি হারে বেড়েছে বিমা খাতের বিএনআইসিএল। তবে এটি যতটা বেড়েছে, তার চেয়ে বেশি বাড়ার সুযোগ ছিল।

এই দুটি কোম্পানি ছাড়া শীর্ষ দশে ৫ শতাংশের বেশি দর বেড়েছে তিনটি কোম্পানির, আর ৪ শতাংশের বেশি দর বেড়েছে পাঁচটির।

শীর্ষ দশের বাইরে আটটি কোম্পানির দর ৩ শতাংশের বেশি আর ১০টি কোম্পানির দর ২ শতাংশের বেশি বেড়েছে। পুঁজিবাজারে সাধারণত সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির শেয়ার এর চেয়ে বেশি হারে বাড়তে দেখা যায়।

সবচেয়ে বেশি দরপতন হওয়া আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ৬ শতাংশের বেশি দর হারানোর কারণ এর লভ্যাংশ-সংক্রান্ত ঘোষণা। কোম্পানিটির শেয়ারদর ৫ টাকার কম হওয়ায় গত কয়েক দিনে শেয়ারদর কমার সুযোগ ছিল না। তবে বৃহস্পতিবার কোম্পানিটি লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে কারণে রোববার এর কোনো মূল্যসীমা ছিল না।

বৃহস্পতিবার শেয়ারদর ছিল ৪ টাকা ৯০ পয়সা। সেটি কমে হয়েছে ৪ টাকা ৬০ পয়সা। কমেছে ৬ দশমিক ১২ শতাংশ। একপর্যায়ে দর কমেছিল ৪০ পয়সা বা ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ।

লেনদেন হয়েছে ৮৫৮ কোটি ৮৮ লাখ ৭১ হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার লেনদেন ছিল ৮২৯ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর