বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশে কেউ ঠিকানাহীন থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ২৭ মার্চ, ২০২২ ১৭:৩২

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘সেদিন বেশি দূরে নয়, বাংলাদেশের একটি মানুষও ঠিকানাবিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না। অন্তত তাদের বেঁচে থাকার একটু সুযোগ আমরা করে দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। অপ্রতিরোধ্য গতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে- এটাই আমাদের আকাঙ্ক্ষা।’

দেশে চলমান অপ্রতিরোধ্য গতির অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সেদিন খুব বেশি দূরে নয় যেদিন দেশে একটি মানুষও ঠিকানাবিহীন, ঘরহীন থাকবে না।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির যৌথ সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে রোববার সকালে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের শাপলা হলে সরকারপ্রধানের সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি ও জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: পিএমও

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। আমরা ২০২১ সালে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। ইনশাআল্লাহ, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আজকে আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছি। সব ভূমিহীন, গৃহহীন মানুষের জন্য বিনে পয়সায় ঘর তুলে দিচ্ছি।

‘সেদিন বেশি দূরে নয়, বাংলাদেশের একটি মানুষও ঠিকানাবিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না। অন্তত তাদের বেঁচে থাকার একটু সুযোগ আমরা করে দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। অপ্রতিরোধ্য গতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, এটাই আমাদের আকাঙ্ক্ষা।’

বাংলাদেশকে আবার স্বাধীনতার চেতনায় ফিরিয়ে আনাটা নিজের লক্ষ্য ছিল বলেও জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতার আদর্শে বাংলাদেশকে গড়ে তুলব। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশ গড়ে উঠবে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে।’

রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সুযোগ পাওয়ায় দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান টানা তিন মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করার সুযোগ পেয়েছি। এর ‌আগে আমরা স্বাধীনতার রজতজয়ন্তীও উদযাপনের সুযোগ পেয়েছিলাম। এর জন্য আমি কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশের জনগণের প্রতি। তারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তাদের সেবা করার সুযোগ আমাকে দিয়েছেন বলেই আজ আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালন করতে পেরেছি এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে পেরেছি।’

সভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটিতে থাকা মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, শিক্ষক, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সমাজের বিশিষ্টজন, সরকারের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর