বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাস থেকে ফেলে হত্যা: চালক-সহকারীর যাবজ্জীবন

  •    
  • ২৭ মার্চ, ২০২২ ১৬:৫৮

মামলায় বলা হয়েছে, এসময় চালক আক্তার হোসেনর নির্দেশে তার সহকারী শওকত ওই ব্যক্তিকে শার্টের কলার ধরে জোর করে বাসে টেনে তোলেন। চালক বাসটি চালাতে শুরু করেন। পাঁচ-ছয় গজ সামনে যাওয়ার পর চালকের নির্দেশে সহকারী শওকত ওই ব্যক্তিকে ধাক্কা দিয়ে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেন।

প্রায় ২৩ বছর আগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অজ্ঞাতপরিচয় এক পথচারীকে জোর করে বাসে তুলে আবার ফেলে হত্যার দায়ে চালক ও তার সহকারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন বাসটির চালক আক্তার হোসেন ও সহকারী মো. শওকত। তবে দুই আসামিই এখন পর্যন্ত পলাতক রয়েছেন।

রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক জেসমিন আরা বেগম এ রায় দেন।

কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে তাদের আরও দুই মাস কারাভোগ করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

রোববার নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল কাদের পাটওয়ারী।

তিনি বলেন, ‘আসামিরা আদালতে হাজির ছিল না। তারা এই মামলায় শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন।’

শওকত মুন্সিগঞ্জ জেলার বাযাইকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। আক্তার ফরিদপুরের মধুখালী থানার মসলন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা।

মামলায় বলা হয়েছে, ১৯৯৯ সালে ৫ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোহাম্মদপুরের শ্যামলী শিশু মেলার পাশে আগারগাঁও রোডে রিকশাচালক রায়হানের রিকশায় ধাক্কা দেয় মিনিবাসটি। এতে রিকশা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। চালক ও সহকারী রিকশা চালককে ৫০ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে চায়। তবে সেখানে উপস্থিত অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি এর প্রতিবাদ করে ৫০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।

মামলায় আরও বলা হয়েছে, এসময় চালক আক্তার হোসেনর নির্দেশে তার সহকারী শওকত ওই ব্যক্তিকে শার্টের কলার ধরে জোর করে বাসে টেনে তোলেন। চালক বাসটি চালাতে শুরু করেন। পাঁচ-ছয় গজ সামনে যাওয়ার পর চালকের নির্দেশে সহকারী শওকত ওই ব্যক্তিকে ধাক্কা দিয়ে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেন। গুরুতর আহত অবস্থায় রিকশাচালক রায়হান তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ওইদিনই মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলী আজম সিদ্দিকী মামলাটি করেন। পরের বছর ১৬ অক্টোবর দুই জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মহসিন।

২০১৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। মামলাটির বিচারের সময় আদালতে ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে চার জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর