বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গ্যাস সংযোগ না দেয়ায় ঝিনাইদহ বিসিক বিমুখ উদ্যোক্তারা

  •    
  • ২৭ মার্চ, ২০২২ ১৪:৫২

সেলিনা রহমান বলেন, ‘বিসিকের সম্প্রসারণের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ে সব ধরনের কাগজপত্র পাঠিয়েছি। এরপর সেখান থেকে একটি টিম বিসিক শিল্পনগরীতে আসছে। তারা দেখে-শুনে একটি মতামত দিয়েছেন। বিসিক শিল্পনগরীকে সম্প্রসারণের জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা।’

নতুন করে কোনো প্লট বরাদ্দ না দেয়া এবং গ্যাস সংযোগ না দেয়ায় ঝিনাইদহ বাংলা বিসিক শিল্পনগরীতে গড়ে উঠছে না নতুন কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান। বরাদ্দ নেয়া প্লটগুলোর অধিকাংশ ব্যবহার হচ্ছে গোডাউন আর শোরুমের কাজে।

হাতে গোনা কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদন চালিয়ে গেলেও পল্লীবিদ্যুৎ ব্যবহারে খরচ বেশি হচ্ছে বলে দাবি ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের।

অথচ বিসিক শিল্পনগরীর কয়েক শ গজের মধ্যে রয়েছে গ্যাস কোম্পানির ডিপো। তবুও সংযোগ পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের ধানহাড়িয়ায় ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের পাশে প্রায় ১৬ একর জমিতে গড়ে তোলা হয় ঝিনাইদহ বিসিক শিল্পনগরী। বর্তমানে ১০১টি প্লটের সব বরাদ্দ থাকলেও শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ৪৬টি। সহজ যোগাযোগমাধ্যম, শ্রমিকের সহজলভ্যতা, পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকায় শিল্প-কারখানার অফুরন্ত সম্ভাবনা রয়েছে এখানে।

কিন্তু প্লট বরাদ্দ না থাকায় স্থাপন হচ্ছে না নতুন কোনো প্রতিষ্ঠান। হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাড়তি উৎপাদন খরচ নিয়েও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। গ্যাসের সংযোগ না থাকায় অনেক প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।

এ ছাড়া বরাদ্দ করা বেশির ভাগ প্লট উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে ব্যবহার করা হচ্ছে গোডাউন হিসেবে। দ্রুত বিসিকের সম্প্রসারণ ও গ্যাস সংযোগ দেয়ার দাবি জানান উদ্যোক্তারা।

ইডেন সু নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বিসিকের পল্লীবিদ্যুৎ, পানি সরবরাহ, ড্রেনেজ সমস্যা ছিল। আমরা বারবার বলার পর এখন সমস্যাগুলোর সমাধান হয়েছে, কিন্তু এখানে গ্যাস সংযোগ নেই। গ্যাস সংযোগ থাকলে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন খরচ কমে যাবে। এতে ব্যবসায়ীরাও লাভবান হবে। বিদ্যুতের নানা সমস্যার কারণে উৎপাদন ব্যাহত হয়। তাই আমরা দ্রুত গ্যাস সংযোগ চাই।’

এরিনা অ্যাগ্রোর উদ্যোক্তা জিয়াউল হক বলেন, ‘ঝিনাইদহ বিসিকের পাশে অনেক জায়গা আছে। বরাদ্দ নিয়ে বিসিক বড় করা যেতে পারে। কিন্তু আজ পর্যন্ত জেলার ব্যবসায়ীদের এই দাবি অন্ধকারেই রয়ে গেল। এখানে নতুন করে কোনো প্লট বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে না। যে কারণে নতুন কোনো উদ্যোক্তাও সৃষ্টি হচ্ছে না। বিসিকের সম্প্রসারণ করা গেলে কিছু হোক না হোক, কিছু মানুষের কর্মসংস্থান তো হতো। এটা ভেবেও তো বিসিক বাড়ানো উচিত।’

বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন জুলিয়াস বলেন, ‘গ্যাস না থাকায় শিল্প-কলকারখানা যারা গড়ে তুলেছেন তাদের উৎপাদনে যাওয়া খুব ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, ঝিনাইদহ বিসিক শিল্পনগরীতে গ্যাসের সংযোগ হলে ব্যবসায়ীরা লাাভবান হবেন।’

এ ব্যাপারে বিসিক জেলা কার্যালয়ের উপব্যবস্থাপক সেলিনা রহমান বলেন, ‘বিসিকের সম্প্রসারণের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ে সব ধরনের কাগজপত্র পাঠিয়েছি। এরপর সেখান থেকে একটি টিম বিসিক শিল্পনগরীতে আসছে। তারা দেখে-শুনে একটা মতামত দিয়েছেন। বিসিক শিল্পনগরীকে সম্প্রসারণের জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা।’

তিনি বলেন, ‘বিসিকের কাছে গ্যাসের ডিপো থাকলেও কাজ হচ্ছে না। গ্যাস কোম্পানির বেঁধে দেয়া অতিরিক্ত খরচের কারণে সংযোগ নিতে পারছে না ব্যবসায়ীরা। ফলে উৎপাদন খরচটা অনেক বেশি পড়ে যাচ্ছে। তারপরও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

এ বিভাগের আরো খবর