২০ রমজান পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সরকারি সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রোববার জনস্বার্থে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
আবেদনকারী আইনজীবী বলেন, ‘বাংলাদেশে ৯০ ভাগ নাগরিক মুসলমান। তাদের ধর্ম ইসলাম। প্রথা ও রীতি অনুয়ায়ী রমজান মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে।
‘এ ছাড়া রমজান মাসে শিক্ষকরা রোজা রেখে ক্লাসে লেখাপড়া শেখানোর বিষয়ে মনোযোগী হন না।’
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রকোপ এখনও যায়নি। এসব কারণে রমজান মাসে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে আরজি জানানো হয়েছে এবং রমজানে স্কুল খুলে রাখার সরকারের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক।’
রমজান মাসে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত সংবিধানের ২৬, ২৭, ২৮, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। রিটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও শিক্ষাসচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার কমায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সশরীরে ক্লাস শুরু হয় গত ২ মার্চ থেকে। আর প্রাক-প্রাথমিকে (প্লে, নার্সারি, কেজি) ক্লাস শুরু হয় এর দুই সপ্তাহ পর।
ক্লাস শুরুর পর প্রাথমিকের (প্রথম-পঞ্চম) ক্লাস চলবে ২০ রমজান পর্যন্ত। ২১ রমজান থেকে শুরু হবে ঈদুল ফিতরের ছুটি। ঈদের ছুটি শেষে আবার যথারীতি ক্লাস শুরু হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন ২৮ ফেব্রুয়ারি এ তথ্য জানান।
এপ্রিলে শুরু হবে রমজান মাস।
তিনি আরও বলেন, ২ মার্চ থেকে প্রাথমিকে স্বাভাবিক শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হলেও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক থাকবে, যা নিশ্চিত করবেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
এর আগে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে পাঠদান শুরু হয়েছে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় সরকার। টানা দেড় বছর বন্ধ রাখার পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে সব স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হয়। পরে ধাপে ধাপে খুলে যায় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও।
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপটে গত ২১ জানুয়ারি ফের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। ঘোষণা অনুযায়ী, ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল।