ময়মনসিংহের তারাকান্দায় এক বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় আটক দুজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের পরিচয় শনাক্তসহ চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
শনিবার রাত ১০টার দিকে তারাকান্দা থানায় মামলাটি করেন নিহত বৃদ্ধার ছেলে মিজানুর রহমান জজ। এর আগে শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার বিসকা ইউনিয়নের বাতিকুরা গ্রামে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
৫৫ বছর বয়সী নিহত বৃদ্ধার নাম উম্মে কুলসুম। আর গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন জেলার ফুলপুর উপজেলার সিংহেশ্বর ইউনিয়নের মোকামিয়া গ্রামের আকমতের ছেলে রুবেল ও নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার আদিয়াবাদ দক্ষিণপাড়া গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে হাফেজ দ্বীন ইসলাম।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তারাকান্দা থানার এসআই আবুল কালাম জানান, হাফেজ দ্বীন ইসলাম বিভিন্ন এলাকায় তাবলিগ-জামায়াতের দাওয়াত দেয়ার অজুহাতে বাসাবাড়িতে প্রবেশ করে ছিনতাই করতেন। এভাবে একসময় রুবেলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর থেকে দুজন তাবলিগ-জামায়াতের লোক পরিচয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতে গিয়ে ছিনতাই করতে থাকেন।
সম্প্রতি ছিনতাইয়ের জন্য ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকাকে বেছে নিয়েছিলেন তারা। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার দুপুরে তারাকান্দার ওই বাড়িতে গিয়ে দেখেন কোনো পুরুষের উপস্থিতি নেই। এ সময় বৃদ্ধা উম্মে কুলসুমকে তাবলিগ-জামায়াতের লোক পরিচয় দিয়ে ঘরে প্রবেশ করেন তারা। কথাবার্তার একপর্যায়ে কুলসুমের গলায় থাকা স্বর্ণের চেন ধরে টান দেন তাদের একজন।
এ অবস্থায় কুলসুম ধস্তাধস্তি শুরু করলে পাশে থাকা দা দিয়ে গলায় কোপ দিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন দ্বীন ইসলাম ও রুবেল। তবে বৃদ্ধার চিৎকারে আশপাশের মানুষ এসে তাদের দুজনকে আটক করতে সক্ষম হন।
তারাকান্দা থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, মামলার পর তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। রোববার দুপুরে তাদের ময়মনসিংহ মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠানো হবে।