বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণের অভিযোগ

  •    
  • ২৬ মার্চ, ২০২২ ১৬:৩৫

শিশুটির দাদি জানান, বুধবার সন্ধ্যার দিকে প্রতিবেশী আব্দুর রউফ তার নাতনিকে ছাগল খুঁজে দেয়ার জন্য ডেকে নিয়ে যান। রাতে শিশুটি ফেরার পর অসুস্থতার কথা জানায়। পরদিন এক প্রতিবেশী জানান, রউফ তার নাতনিকে ধর্ষণ করেছেন এবং তিনি বিষয়টি দেখেছেন।

মাগুরায় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় শ্রেণির শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানালেও কোনো বিচার হয়নি বলে দাবি শিশুটির পরিবারের।

৭০ বছর বয়সী ওই অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যের ছেলের দাবি, ষড়যন্ত্র করে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে।

মাগুরা সদর উপজেলার কছুন্দি ইউনিয়নের শিশুটি বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর থেকে দাদির কাছে থাকে।

তার দাদি নিউজবাংলাকে জানান, বুধবার সন্ধ্যার দিকে প্রতিবেশী আব্দুর রউফ তার নাতনিকে ছাগল খুঁজে দেয়ার জন্য ডেকে নিয়ে যান। রাতে শিশুটি ফেরার পর অসুস্থতার কথা জানায়। পরদিন এক প্রতিবেশী জানান, রউফ তার নাতনিকে ধর্ষণ করেছেন এবং তিনি বিষয়টি দেখেছেন।

এরপর শিশুটিকে জিজ্ঞেস করলে সে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। রউফ তাকে বাদাম কিনে দেয়ার কথা বলে চুপ থাকতে বলেছিল। কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

শিশুটির দাদি আরও জানান, শুক্রবার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে তারা বিষয়টি জানালে তিনি দুজন লোক পাঠান। তবে রউফের কোনো বিচার হয়নি। বিষয়টি রউফের ছেলেকে জানালে তিনি এসে ক্ষমা চেয়েছেন এবং চিকিৎসার জন্য টাকাপয়সা দিতে চেয়েছেন।

ওই নারী বলেন, ‘আমরা কোথায় বিচার চাইব? তারা নিজেরাই তো পুলিশ। তাহলে তারা কী করছে এ বিষয়ে?’

তবে এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাননি বলে দাবি করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোল্লা।

তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু মনে করতে পারছি না। তারা যদি বলে তাহলে আমি লোক পাঠাব। আমি তো কাউকে পাঠিয়েছি বলে মনে নেই।’

রউফের বড় ছেলে রিপন মোবাইলে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার বাবার বয়স ৭০-এর ওপরে। তিনি হাঁটতে পারেন না, সবসময় কাঁপতে থাকেন। আমরা ভাইরা সবাই বাড়ির বাইরে থাকি। মা-বাবা বাড়িতে থাকেন। এই বয়সে এরকম একটা অভিযোগ ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু না। গ্রাম্য দলাদলির কারণে এটা রটানো হয়েছে বলে আমরা মনে করছি।’

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির হোসেন বলেন, ‘এই ঘটনা আমার জানা নেই। কারণ থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। তবে আমি খোঁজ নিচ্ছি। অভিযোগ যার বিরুদ্ধেই হোক দেয়া যাবে। তবে অভিযোগকারীদের তো থানায় বা স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। বিষয়টি আমি দেখছি।’

এ বিভাগের আরো খবর