বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফুল দেয়া নিয়ে আ.লীগের দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

  •    
  • ২৬ মার্চ, ২০২২ ১২:৪৮

সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন বলেন, ‘শহীদবেদিতে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলে যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় মহান স্বাধীনতা দিবসে শহীদ স্মৃতি ফলকের বেদিতে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।

সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে শনিবার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

বালিয়াটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রহুল আমিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ফুল দিয়েছি। এরপর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান মীর সোহেল আহম্মেদ চৌধুরী দলীয় ব্যানারে ফুল দিতে গেলে আমি আপত্তি করি। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায় যা খুবই দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।’

বালিয়াটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মীর সোহেল আহম্মেদ চৌধুরী বলেন, ‘আমি ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে প্রথমে শহীদবেদিতে ফুল দিই। তারপর আওয়ামী লীগের ব্যানারে ফুল দিই। আমি বালিয়াটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

‘গত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে জয়লাভ করেছি। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে আমাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় যা পরে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ কারণে দলীয় ব্যানারে ফুল দিয়েছি। এতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রহুল আমিন আপত্তি করলে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।’

ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় মো. জাকির ও নাজমুল হোসেনসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান।

এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন বলেন, ‘শহীদবেদিতে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলে যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

যারা স্বাধীনতা দিবসে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে তারা বিএনপি-জামায়াতের দোসর বলে মন্তব্য করেছেন সাটুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ ফটো।

সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম জানান, আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিভাগের আরো খবর