স্কুলছাত্র রাহাত তালুকদার হত্যার রহস্য উদঘাটনের কথা জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বাহিনীটি বলছে, বন্ধুকে এতিম সম্বোধন করায় প্রাণ দিতে হয়েছে রাহাতকে।
রাহাত বানিয়ারা গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে। সে বল্লা করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত। বুধবার উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের কাগুজিপাড়া এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার বাবা মামলা করেন।
এরপরই হত্যার মোটিভ উদ্ধারে মাঠে নামে র্যাব।
শুক্রবার রাতে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই স্কুলছাত্রের বন্ধু মো. বিপ্লবকে আটক করা হয়। পরে বানিয়ারা গ্রামের নুবু মিয়ার ছেলে বিপ্লব র্যাবের কাছে হত্যার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বলে জানিয়েছে র্যাব।
সিপিসি-৩ র্যাব-১২-এর কোম্পানি কমান্ডার এরশাদুর রহমান শনিবার দুপুরের জানান, রাহাত-বিপ্লবের বাড়ি পাশাপাশি। মঙ্গলবার রাতে বিপ্লব ও রাহাত কালিহাতীর কোকডহরা ইউনিয়নের কাগুজিপাড়া বাজারে বসে লুডু খেলছিল। এ সময় বিপ্লবকে কয়েকবার রাহাত এতিম বলে সম্বোধন করে। এ কারণে বিপ্লব ক্ষিপ্ত হয় রাহাতকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়।
পরে বিপ্লব বাজারের একটি দোকান থেকে ব্লেড ও সিগারেট কেনে। এরপর বিপ্লব সিগারেট খাওয়ার কথা বলে রাহাতকে কাগুজিপাড়া এলাকার একটি পুকুরের ধারে নিয়ে যায়। সেখানে বিপ্লব ব্লেড দিয়ে রাহাতের গলায় পোঁচ দেয়। এ সময় রাহাত চিৎকার করলে বিপ্লব মুখ চেপে ধরে আরও কয়েকবার পোঁচ দেয়। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে কাদার মধ্যে রাহাতের মুখ চেপে ধরে।
রাহাতের মৃত্যুর পর মরদেহ পুকুরে ফেলে দিয়ে তার মোবাইল নিয়ে বাড়িতে চলে যায় বিপ্লব। এরপর নিজের রক্তমাখা জামাকাপড় ধুয়ে ফেলে। বিপ্লবের ঘর থেকে রাহাতের মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে পুলিশের কাছে দেয়া হবে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।