বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গণহত্যা দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবি ইনুর

  •    
  • ২৫ মার্চ, ২০২২ ২৩:১৯

ইনু বলেন, ‘দিবসটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, প্রতিটি ভবনে কালো পতাকা ‍উত্তোলনের পাশাপাশি কিছু রাষ্ট্রীয় আচার পালন করতে হবে।’

গণহত্যা দিবসকে এখনও রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি এবং সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা আজকে যখন এখানে গণহত্যা দিবস পালন করছি তখন রাষ্ট্র কী করছে? এই মুহূর্তে এই দিবসটি কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন হচ্ছে না। সুতরাং আগে আমাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে।’

৭১-এর গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে শুক্রবার রাতে শহীদ মিনারে আয়োজিত সমাবেশ ও আলোর মিছিলে তিনি এসব কথা বলেন।

‘গণহত্যার কালরাত্রি’ শিরোনামে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

এসময় হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘দিবসটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, প্রতিটি ভবনে কালো পতাকা ‍উত্তোলনের পাশাপাশি কিছু রাষ্ট্রীয় আচার পালন করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি সবাইকে আহবান জানাব, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির কথা বলার আগে এই গণহত্যা দিবসকে রাষ্ট্রীয় দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হোক। উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় আচারের মাধ্যমে যেন এই দিবসটি আগামী বছর পালন হয়, আশা করি সেজন্য আপনারা তদবির চালাবেন।’

ইনু বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারকেই উপযুক্ত আন্তর্জাতিক সংস্থায় আর্জি ও তদবির করে এই স্বীকৃতি আদায় করতে হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি বলেন, ‘একটু আগে ইনু ভাই বলে গেছেন রাষ্ট্রীয়ভাবে গণহত্যা দিবস পালন করা হয় না। তবে একটু পর রাত ৯টায় বাতি নিবিয়ে কালরাত্রিকে যে স্মরণ করা হবে, সেটা রাষ্ট্রীয়ভাবেই পালন করা হচ্ছে। অবশ্য আরও কী কী করে এই দিনটিকে আরও ভালোভাবে পালন করা যায় সেটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা হতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আমি যখন সংসদে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলাম তখন থেকে আমরা কাজ শুরু করেছিলাম। ওই কাজগুলো চলমান রয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যার সরকার একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীর বিচার করেছে, করছে।’

দীপু মনি বলেন, ‘এই সরকারের সময়ই এই দিনটি গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। কাজেই আমি বিশ্বাস করি, শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আমরা একদিন গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও আদায় করতে পারব।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘একাত্তরের চেতনায় দেশ যেন এগিয়ে যেতে পারে সেজন্য আমাদের দরকার বঙ্গবন্ধু কন্যার সরকার। আমরা সবাই যেন তার সঙ্গে থাকি। যারা রাজনীতির নামে এ দেশে এখনও অপরাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে, সেই অপশক্তি এখনও বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেয়ার জন্য ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। আসুন সবাই মিলে সেই অপশক্তিকে রুখে দাঁড়াই।’

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ড. শাহাদাত হোসেন, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুল হাসান মানিক, কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি কমরেড শাহ আলম, মাহবুব উদ্দীন আহমেদ বীর বিক্রম, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকসহ অনেকে।

আলোচনা শেষে সবাই দাঁড়িয়ে সমবেত গান পরিবেশন করেন। এরপর শহীদ মিনারেই কিছুক্ষণের জন্য মশাল জ্বালানো হয়। মশাল নিভিয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে আলোর মিছিল শুরু হয়।

মোমবাতি হাতে মিছিলটি শহীদ মিনার থেকে জগন্নাথ হলে পৌঁছে হলের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের সামনে মোমবাতিগুলো বসানো হয়।

এ বিভাগের আরো খবর