আওয়ামী লীগ ইতিহাস বিকৃতি করছে বিএনপির এমন মন্তব্যের জবাব দেয়ার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেছেন, ‘ইতিহাস বিকৃতি এদেশে ঘটেছে এটাই সত্য। সেই ইতিহাস বিকৃতি কারা করেছে, কীভাবে করেছে, কীভাবে এদেশকে আবার পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করেছে এবং এখনও সেটাই করে যাচ্ছে, সেটা কিন্তু আমরা সবাই জানি।
‘আমি একদমই মনে করি না যে, যারা এই মিথ্যাচার করেছে, এখনও করে চলছে, তাদের কথার কোনো জবাব দেয়া দরকার আছে। আমি মনে করি না তারা কেউ আমার উত্তর পাবার যোগ্য।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশন ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
‘আওয়ামী লীগ ইতিহাস বিকৃতি করেছে’ সম্প্রতি এমন বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের অন্য নেতারা।
বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে দীপু মনি বলেন, ‘ইতিহাস বিকৃতি আমরা রোধ করেছি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। তেমনি বাংলাদেশকে ভিন্ন পথে নিয়ে যাওয়ার যে চেষ্টা হয়েছে, অতীতে যত জঞ্জাল তারা তৈরি করেছে, তা দূর করেই শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।’
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাঙালির ২৩ বছরের যে বঞ্চনা সেটিকে বাঙালির সামনে তুলে ধরে আমরা আসলে কী চাই সেটি বলে দিচ্ছেন। বলে দিচ্ছেন সেই চাওয়াটা কীভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।’
দীপু মনি বলেন, ‘সেখানে বাঙালিকে কী করতে হবে সেটি যেমন বলা আছে, তেমনি শাসকদের দিকেও নির্দেশনা আছে যে তাদের কী করতে হবে। এরকম এক ভাষণ ইতিহাসে আর দেখা যায় না। কোনো একটি ভাষণের মধ্য দিয়ে একটি জাতিরাষ্ট্রের জন্ম এরকম দেখা যায় না।’
তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে চিনতে শিখছে। আমরা এগিয়েছি বহুদূর। তবে এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বয়ে নিয়ে যেতে হবে। এটি বাঙালির হাজার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন। এই শ্রেষ্ঠ অর্জনকে যেন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তর ধরে রাখতে পারি, সেই চেতনাকে ধরে রাখতে পারি, সে জন্যেই আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার মধ্য দিয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মনের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া প্রয়োজন।’