নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনায় আট আসামিকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
তাদের তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হলে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নুর নাহার ইয়াসিন শুক্রবার বিকেলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নৌ পুলিশের পরিদর্শক ফোরকান জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ঘটনার সময়ের নানা তথ্য দিয়েছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলামিননগর এলাকায় গত রোববার বেলা ২টার দিকে সিটি গ্রুপের কার্গো জাহাজ এমভি রূপসী-৯ ধাক্কায় এমএল আশরাফ উদ্দিন নামে লঞ্চটি ডুবে যায়। রাতভর চেষ্টায় সোমবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে লঞ্চটি শীতলক্ষ্যার পাড়ে আনা হয়। মঙ্গলবার পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে দুই শিশুসহ লঞ্চের ১১ যাত্রীর মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।
পরে নৌ পুলিশ জানায়, ১১ জনের মধ্যে একজন অন্য কোনো সময়ের কোনো এক দুর্ঘটনায় ডুবছিলেন।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উপপরিচালক (ট্রাফিক ও নৌ নিরাপত্তা) বাবু লাল বৈদ্য বেপরোয়াভাবে জাহাজ চালিয়ে হত্যার অভিযোগে বন্দর থানায় কার্গো জাহাজের মাস্টারসহ আটজনের নামে মামলা করেন।
আরেকটি মামলা হয়েছে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের আদালতে।
লঞ্চডুবির ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শামীম ব্যাপারীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন। এ ছাড়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বজলুর রশিদকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।