১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া গণহত্যাকে বিশ্বের তরুণ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে কলকাতার বাংলাদেশ উপ দূতাবাসে পালন করা হল গণহত্যা দিবস।
শুক্রবার বাংলাদেশ কমিশনের গ্যালারিতে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের শুরুতে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
সেখানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী বার্তা পড়ে শোনান কাউন্সিলর রিয়াজুল ইসলাম এবং কাউন্সিলর মোহাম্মদ বশির উদ্দিন।
কলকাতার বাংলাদেশ কমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, ‘২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে কাজ করে যাচ্ছে, বাংলাদেশ সরকার।’
কলকাতা দূরদর্শনের সাবেক পরিচালক অভিজিৎ দাসগুপ্ত গণহত্যার প্রমাণে ১৯৭১ সালের বিভিন্ন ছবি, বিদেশের বিভিন্ন আর্কাইভ থেকে সংগ্রহের সরকারি উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানান।
কলকাতা প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্নেহাশীষ সুর বলেন, ‘আন্তর্জাতিক স্বীকৃত তথ্য অনুসারে ২৫ মার্চ ঢাকায় ১০ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়। সেই গণহত্যার ইতিহাস তরুণ প্রজন্মকে জানাতে হবে।’
অনুষ্ঠানে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ঢাকা গণহত্যার ওপর নির্মিত দুটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়।
৫১ বছর আগের আজকের এই দিনে স্বাধীনতাকামী বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। পরের নয় মাসে যে গণহত্যা হয়, তা বিশ্বের ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যার একটি।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের আগে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়। এই হত্যাযজ্ঞকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে ২০১৭ সালের ২৫ মার্চ থেকে বাংলাদেশে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত হয়ে আসছে।