বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শহীদদের স্মরণে এক মিনিটের অন্ধকার

  •    
  • ২৫ মার্চ, ২০২২ ২১:১১

১৯৭১ সালের এই দিনে রাতের আঁধারে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। অপারেশন সার্চলাইট নামে তারা মেতে ওঠে ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যায়। জাতির জীবনে আসা এই ‘ভয়াল কালরাত’-এ ঘুমন্ত বাঙালিকে নির্বিচারে হত্যা করে পাকিস্তানি সেনারা। জাতীয় সংসদে ২০১৭ সালের ১১ মার্চ এদিন অর্থাৎ ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়। তখন থেকে দিনটি জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

এক মিনিটের জন্য অন্ধকার চারপাশ।

ঘটা করে এই আয়োজনের পেছনে আছে কষ্ট, আছে গর্ব, শ্রদ্ধা। আছে ৩০ লাখ মানুষকে হারানোর বেদনা, আছে একটি স্বাধীন দেশ পাওয়ার গর্ব।

যাদের জীবনের বিনিময়ে এসেছে স্বাধীনতা, তাদের স্মরণ করতে, শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিটের জন্য নেভানো হলো বাতি।

শুক্রবার রাতে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংস হত্যাযজ্ঞকে প্রতীকী আয়োজন রাত নয়টায় ‘ব্ল্যাক আউট’-এর মাধ্যমে স্মরণ করল বাংলাদেশ।

শহীদ স্মরণে পাঁচ বছর ধরে এই আয়োজন করে আসছে বাংলাদেশ। এই সময়টায় সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন ও স্থাপনায় কোনো আলোকসজ্জা করা যাবে না বলে আগেই জানিয়ে রেখেছিল সরকার। তবে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনাগুলো ব্ল্যাকআউটের আওতামুক্ত রাখা হয়।

বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতির সংগঠনও এতে অংশ নেয়।

তবে গত পাঁচ বছরের মতো এবারও দেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপি এই গণহত্যা দিবসের কোনো আয়োজন রাখেনি। তারা এক মিনিটের ব্ল্যাকআউটেও অংশ নেয়নি।

জাতীয় সংসদে ২০১৭ সালের ১১ মার্চ এদিন অর্থাৎ ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়। তখন থেকে দিনটি জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। দিবসটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টায় আছে সরকার।

১৯৭১ সালের এই দিনে রাতের আঁধারে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। অপারেশন সার্চলাইট নামে তারা মেতে ওঠে ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যায়। জাতির জীবনে আসা এই ‘ভয়াল কালরাত’-এ ঘুমন্ত বাঙালিকে নির্বিচারে হত্যা করে পাকিস্তানি সেনারা।

ওইদিন পিলখানা, রাজারবাগ, নীলক্ষেত ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একযোগে আক্রমণ করে পাকিস্তানি সেনারা। মেশিনগানের গুলিতে, ট্যাংক-মর্টারের গোলা আর আগুনের লেলিহান শিখায় পুরো নগরীতে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের নয় শিক্ষককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। তাদের আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পায়নি রোকেয়া হলও। বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে চলে নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞ।

ওই রাতে বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ধানমন্ডির বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তান নিয়ে যায় দখলদার বাহিনী। তার আগেই ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন জাতির পিতা। যে কোনো মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় নিশ্চিত হয় সেদিন।

এই অর্জন করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন ৩০ লাখ মানুষ। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন দুই লাখেরও বেশি নারী।

এ বিভাগের আরো খবর