গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ রুকনি মাজার মোড় থেকে ৪৫ গ্রাম সাদা পাউডারজাতীয় বস্তু, ৫১ পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি শামছুজ্জামান ওরফে ছামছুকে আটক করে পুলিশ। পরে ওই পাউডার রাজশাহী সিআইডির ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার সেই পরীক্ষার ফল পাওয়া গেছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, তাদের উদ্ধার করা পাউডার ছিল আসলে কোকেন। পুলিশের দাবি অনুযায়ী, উদ্ধার হওয়া ওই কোকেনের বাজারমূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা!
মাদক উদ্ধারের ঘটনায় ইতিপূর্বে কারবারি ছামছুর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই বুলবুল। সেই মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন শামছু।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এসব বিষয় নিশ্চিত করেন জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (ডিবি) আশরাফুল আলম পলাশ। কোকেন উদ্ধারের ঘটনা রংপুরে এই প্রথম বলেও জানান তিনি।
গ্রেপ্তার হওয়া ছামছু মিঠাপুকুরের ইসলামপুর পাইকারহাট গ্রামের রুস্তম আলী ওরফে বগি রুস্তমের ছেলে।
থানা সূত্র জানিয়েছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এসপির নির্দেশে মাদকবিরোধীর বিশেষ অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ১ নম্বর খোড়াগাছ ইউনিয়নের রুকনি মাজার মোড়ে হানা দেয়। এ সময় রাস্তার ওপর ৫১ পিস ইয়াবা ও তিনটি ছোট পলিব্যাগে ৪৫ গ্রাম সন্দেহজনক সাদা পাউডারসহ মাদক কারবারি ছামছুকে আটক করা হয়। ঘটনার পর পরই ওই পাউডারের রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য রাজশাহী সিআইডির ল্যাবে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার ওই পরীক্ষার ফল পুলিশের হাতে এসে পৌঁছায়।
পুলিশের দাবি, প্রতি গ্রাম কোকেন ক্ষেত্রবিশেষে ৩ লাখ টাকা দরেও বিক্রি হয়। সেই হিসাবে উদ্ধারকৃত কোকেনের মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা।
রংপুরের সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম পলাশ জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ছামছুর বিরুদ্ধে রংপুরের বিভিন্ন থানায় সাতটি মাদক ও একটি চাঁদাবাজি মামলা রয়েছে।
কোকেনের বিষয়ে পুলিশ এর উৎস ও প্রবাহ সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত আছে। রংপুরে কোকেন ব্যবসার সঙ্গে আর কারা জড়িত, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য রংপুর ডিবি পুলিশ কাজ করছে।