বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গৃহবধূর চোখে মরিচের গুঁড়া

  •    
  • ২৫ মার্চ, ২০২২ ১৯:৫৩

বোনকে নির্যাতনের খবর পেয়ে গৃহবধূর দুই ভাই জহির ও ইসমাইল ছুটে এসেছিলেন তাকে উদ্ধার করতে। তবে এর আগেই স্থানীয়রা ৯৯৯-এ কল দিয়ে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে।

লক্ষ্মীপুরে নূপুর আক্তার নামে এক গৃহবধূর চোখে-মুখে মরিচের গুঁড়া নিক্ষেপ করে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। পরে ৯৯৯-এ কল পেয়ে নির্যাতিত গৃহবধূকে শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।

ঘটনার পর থেকে নির্যাতনকারী স্বামী ও শাশুড়ি পলাতক।

বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার রাজীবপুর গ্রামে বশির উল্লাহর বাড়িতে এমন নির্যাতনের শিকার হন ২৭ বছর বয়সী নূপুর আক্তার।

পুলিশ ও গ্রামবাসীর বরাতে জানা গেছে, সাত বছর আগে সদর উপজেলার রাজীবপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে মো. সুজন একই উপজেলার আবিরনগর গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার মেয়ে নূপুর আক্তারকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে কারণে-অকারণে নূপুরকে মারধর করতেন স্বামী ও শাশুড়ি। সংসারে অশান্তির মাঝেই দুই পুত্রসন্তানের জন্ম দেন ওই গৃহবধূ।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাশুড়ি শুকরি বেগমের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শাশুড়ি তার চোখে-মুখে ও মাথায় মরিচের গুঁড়া মাখিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন।

কিছুক্ষণ পর গৃহবধূর স্বামী সুজন বাড়ি এলে নূপুর তাকে বিষয়টি জানান। কিন্তু সুজন স্ত্রীর কথা না শুনে উল্টো রেগে গিয়ে নূপুরকে মারধর শুরু করেন। মারধরের একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ওই গৃহবধূ।

বোনকে নির্যাতনের খবর পেয়ে গৃহবধূর দুই ভাই জহির ও ইসমাইল ছুটে এসেছিলেন তাকে উদ্ধার করতে। তবে এর আগেই স্থানীয়রা ৯৯৯-এ কল দিয়ে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে। পরে পুলিশ গৃহবধূকে চিকিৎসার জন্য দুই ভাইয়ের মাধ্যমে হাসপাতালে পাঠায়।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন জানান, ৯৯৯-এ কল পেয়ে নির্যাতিত গৃহবধূকে শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ যাওয়ার আগেই অভিযুক্ত মা-ছেলে পালিয়ে যায়।

লিখিত অভিযোগ দিলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।

এ বিভাগের আরো খবর