রাজধানীর শাহজাহানপুরে অজ্ঞাতপরিচয় অস্ত্রধারীর গুলিতে জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী প্রীতি খুনের ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
ধানমন্ডিতে মন্ত্রীর বাসভবনে শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। হত্যার রহস্য উম্মোচনে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনা নিয়ে যারা কলকাঠি নাড়ার চেষ্টা করবে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জড়িত কেউ রেহাই পাবে না। অতি দ্রুত অপরাধীরা ধরা পড়বে।’
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে শাহাজাহানপুরে অস্ত্রধারীদের গুলিতে নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপু মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। অপরজন কলেজছাত্রী সুমাইয়া আফরিন প্রীতি। ২৪ বছর বয়সী এ কলেজছাত্রী রিকশায় করে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন। গুলিতে আহত হন প্রাইভেট কারের চালক মুন্না।
ঘটনাস্থল থেকে ১১টি গুলির খোসা উদ্ধার করে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট।
র্যাব জানিয়েছে, তারাও টিপু হত্যার বেশ কিছু তথ্য ও আলামত পেয়েছে।
ওই ঘটনায় শুক্রবার সকালে জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী ফারহানা ইসলাম জলি শাহাজাহানপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘আমার স্বামী মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য ছিলেন। তার মতিঝিল কাঁচাবাজার এলাকায় একটি রেস্টুরেন্ট আছে।
‘আমার স্বামী রেস্টুরেন্ট দেখাশোনা করতেন। ১০ বছর ধরে বৃহত্তর মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন দলীয় কোন্দল ছিল। চার-পাঁচ দিন আগে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারী আমার স্বামীকে মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দেয়।’
প্রতিদিনের মতো গতকাল (বৃহস্পতিবার) গাড়িচালক মনির হোসেন মুন্না মাইক্রোবাস নিয়ে হোটেলের উদ্দেশে যাওয়ার জন্য রওনা হন।
মতিঝিল এজিবি কলোনিতে গ্রান্ড সুলতান নামে রেস্টুরেন্টে কাজ শেষে বাসার উদ্দেশে যাওয়ার পথে রাত আনুমানিক সোয়া ১০টার দিকে মানামা ভবনস্থ বাটার দোকানের সামনে অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারীরা পূর্বশত্রুতার জের ধরে আমার স্বামীকে এলোপাতাড়ি গুলি করে এবং গুলিতে গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায়।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ‘আমার স্বামীর গলার ডান পাশে, বুকের বাম পাশে, বুকের বাম পাশের বগলের কাছাকাছি, পেটের মধ্যে নাভির নিচে, বাম কাঁধের ওপরে, পিঠের বাম পাশের মাঝামাঝি স্থানে, পিঠের বাম পাশের কোমর বরাবর, পিঠের ডান পাশের কোমরের ওপরসহ একাধিক স্থানে মারাত্মক জখম হয়।