ছয় মাস আগে স্বামী মারা গেছেন। এরপর দুই ছেলে নিয়ে শুরু হয়েছিল বিধবা বিলকিসের জীবনযুদ্ধ। একটি চুলের কারখানায় কাজ করলেও ঋণ করে গরু কিনেছিলেন কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য। সাজাচ্ছিলেন স্বপ্ন। কিন্তু সেই স্বপ্ন ছাই হয়ে গেল কয়েলের আগুনে।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাতিভাঙ্গা গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে কয়েল থেকে আগুন লেগে পুড়ে মারা গেছে গোয়ালে থাকা বিলকিসের দুটি গরু। ভস্মীভূত হয়েছে পুরো গোয়ালঘরটি।
শুক্রবার বেলা ১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন দামুড়হুদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী।
বাড়ির মালিক বিলকিস খাতুন বলেন, ‘আমার গোলায়ে দুটি গরু ছিল। প্রতি রাতের মতো গত রাতে গোয়ালঘরে মশার কয়েল জ্বালিয়ে দিই। গভীর রাতে ওই মশার কয়েলের আগুন থেকে প্রথমে গোয়ালঘরের বেড়ার পাটকাঠিতে লাগে। পরে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় চিৎকার দিলে ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই আমার শেষ সম্বল দুটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
বিলকিস জানান, গরু দুটির আনুমানিক মূল্য দেড় লাখ টাকা।
তিনি বলেন, ‘আমি বিধবা। ছয় মাস আগে আমার স্বামী আবু তাহের মারা গেছেন। দুই ছেলে নিয়ে আমার অভাবের সংসার। চুলের কারখানায় কাজ করে সংসার চলে। বাড়তি আয়ের আশায় বেসরকারি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে দুটি গরু কিনেছিলাম। আগামী কোরবানি ঈদে গরু দুটি বিক্রি করার কথা ছিল। এখন সব শেষ। আমি কীভাবে এখন ঋণের টাকা পরিশোধ করব।’
এ বিষয়ে দামুড়হুদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী বলেন, ‘ঘটনাটি শুনে আজ দুপুরে বিধবা বিলকিস খাতুনের বাড়িতে যাই। আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে নগদ অর্থ সহায়তা করেছি। পরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। এ ছাড়া উপজেলা পরিষদকে বিষয়টি অবহিত করে সেখান থেকে সহযোগিতার জন্য অনুরোধ করা হবে।