পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন ঢাকায় নবনিযুক্ত ১২ দেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এই সাক্ষাৎ হয় বলে শুক্রবার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞিপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এ সময় এসব রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবসময় শান্তির পক্ষে রয়েছি এবং বিশ্বজুড়ে শান্তির সংস্কৃতি প্রচলনের জন্য অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছি। শান্তি এবং মানবিকতার জন্য আমরা মিয়ানমারে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের আশ্রয় দিয়েছি।’
এ ক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিরাপদে ফিরে যাওয়ার জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখতে রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
নবনিযুক্ত দূতরা তাদের দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কাজ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী মোমেন।
সাক্ষাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে শিগগিরই দূতাবাস চালু করতে হাঙ্গেরি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে স্বাগত জানান। অন্যান্য অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদেরও তিনি বাংলাদেশে তাদের মিশন কিংবা কনসুলেট প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
রোমানিয়া, নাইজেরিয়া, সিয়েরা লিওনসহ অন্য কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে উপস্থিতি ছিলেন নাইজেরিয়ার হাইকমিশনার আহমেদ সুলে, এস্তোনিয়ার রাষ্ট্রদূত ক্যাট্রিন কিভি, আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ডন ওয়ার্ড, রুয়ান্ডার রাষ্ট্রদূত মুকাঙ্গিরা জ্যাকলিন, রোমানিয়ার রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েলা মারিয়ানা সেজোনভ, ডোমিনিকান রিপাবলিকের রাষ্ট্রদূত ডেভিড ইমানুয়েল পুইগ বুচেল, মাল্টার হাইকমিশনার রুবেন গাউসি, কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত আসউইন ইসায়েভ, ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রিতভা কাউকু-রোন্ডে, সিয়েরা লিওনের রাষ্ট্রদূত রশিদ সেসে, হাঙ্গেরির রাষ্ট্রদূত আন্দ্রাস লাসজলো কিরালি এবং কলম্বিয়ার রাষ্ট্রদূত মারিয়ানা পাচেকো মন্টেস।