সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। সকালে স্বাভাবিক থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপ বাড়তে থাকে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিহন করপোরেশন আরিচা কার্যালয় সূত্র জানায়, দুপুর ১টার দিকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় শতাধিক বাস, দেড় শতাধিক ছোট গাড়ি এবং পাচঁ শতাধিক ট্রাক মিলে প্রায় এক হাজার যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায় রয়েছে।
এতে ঘাট এলাকায় দেখা দিয়েছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন ফেরি পারের অপেক্ষায় থাকা যাত্রী ও চালকরা।
পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় আটকা পড়া ফরিদপুরের শেফালী বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ছুটিতে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। কিন্তু ঘাটে এসে আটকা পড়লাম। গরমের মধ্যে গাড়িতে বসে থেকে খারাপ লাগছে। চিন্তায় আছি কখন পার হতে পারব।’
পারের অপেক্ষায় থাকা কুষ্টিয়ার আব্দুর রহমান বলেন, ‘মাসে দু-একবার গ্রামের বাড়িতে যাই। কিন্তু পাটুরিয়া ঘাটেই বেশি সময় শেষ হয়। বাড়িতে তেমন সময় দিতে পারি না। ঘাটে সমস্যা না হলে বাড়িতে বেশি সময় দিতে পারতাম।’
ট্রাকচালক হানিফ আলী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ঘাটের কাছে সিরিয়ালের জন্য অপেক্ষা করতেছি। মনে হয় না আজকে ফেরিতে উঠতে পারুম। এখন কী আর করুম, তাই বসে আছি।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মহিউদ্দিন রাসেল জানান, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌরুটে ২০টির মধ্যে ছোটবড় ১৭টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বৃহস্পতিবার রাত থেকে যানবাহনের চাপ পড়তে শুরু করে ঘাটে। শুক্রবার সকালে স্বাভাবিক থাকলেও দুপুর ১২টার দিকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নারায়ণগঞ্জের ডকইয়ার্ডে দুটি এবং পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানায় একটি ফেরি মেরামতে আছে। সবগুলো ফেরি সচল থাকলে ঘাটে চাপ কম থাকত।
‘যাত্রীবাহী ও জরুরি কাজে নিয়োজিত যানবাহনের চাপ কমলে সিরিয়াল অনুযায়ী পণ্যবাহী ট্রাক পার করা হবে।’ বিকেলের মধ্যে ঘাট এলাকার যানজট স্বাভাবিক হবে বলে আশাবাদী তিনি।