বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্ত্রীর আত্মহত্যার ৯ মাস পর চলে গেলেন হৃদয়ও

  •    
  • ২৫ মার্চ, ২০২২ ১০:৪৪

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুনীরুল গিয়াস বলেন, ‘এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’

কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোনের একটি রিসোর্ট থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল হৃদয় নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এটি হত্যা না আত্মহত্যা সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। মরদেহ রয়েছে হাসপাতালের মর্গেই। পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে ঘটনা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

তবে ২১ বছর বযসী হৃদয়ের মৃত্যুকে আত্মহত্যা হিসেবেই দেখছেন তার পরিবার ও আত্মীয়স্বজন।

হৃদয় বিডিআরের সাবেক সুবেদার আলী আকবরের একমাত্র ছেলে। দুই বোনের এক ভাই ছিল হৃদয়।

শুক্রবার সকালে হাসপাতালে মরদেহ নিতে এসে নিউজবাংলার সঙ্গে কথা হয় হৃদয়ের ভগ্নিপতি জাহেদুল ইসলামের।

তিনি জানান, দেড় বছরের প্রেমের পর বিয়ে করেন ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের আফিয়া আক্তার ও হৃদয়। তবে পাঁচ মাস পর থেকেই তাদের মধ্যে শুরু হয় অভিমান। একটু একটু করে জমে থাকা অভিমানের শেষ হয় ২০২১ সালের ২৯ জুন। সেদিন আফিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে এটিকে আত্মহত্যাই বলা হয়।

ওই মামলায় জেলেও গিয়েছিলেন হৃদয়। তিন মাস পর বের হয়ে স্ত্রী হারানোর বেদনায় ভুগছিলেন তিনি। এরই জেরে বৃহস্পতিবার কক্সবাজার ঘুরতে এসে আত্মহত্যা করেন হৃদয়।

জাহেদুল ইসলাম আরও জানান, জেল থেকে বের হওয়ার পর থেকে স্ত্রীর শোকে প্রায়ই অস্বাভাবিক আচরণ করতেন হৃদয়।

হৃদয়ের মায়ের বরাতে তিনি আরও জানান, মৃত্যুর আগে মায়ের মুঠোফোনে একটি এসএমএস পাঠান হৃদয়। সেখানে লেখেন, ‘অনেক দূরে চলে যাচ্ছি মা।’ স্ত্রীর আত্মহত্যার প্রায় ৯ মাস পর একই পথে হাঁটলেন হৃদয়ও। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে তাদের মা এখন পাগল প্রায়।

হৃদয়ের আরেক ভগ্নিপতি সৈয়দ সালমান রহমান নিউবাংলাকে বলেন, ‘পেশায় হৃদয় তেমন কিছু করত না। প্রেম করে বিয়ে করল। দুই পরিবার তা মেনেও নিয়েছে। কিন্তু কী নিয়ে তাদের মধ্যে অভিমান তা এখনও কেউ জানতে পারেনি। স্ত্রীর পর হৃদয়ও আত্মহত্যা করল।’

এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে রিসোর্টের ১০৮ নম্বর কক্ষ থেকে হৃদয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

হোটেল কর্তৃপক্ষ ও নিহতের পরিবারের বরাতে ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক রুহুল আমিন জানান, বুধবার সকালে কলাতলীর হোটেল-মোটেল জোনের একটি রিসোর্টে কক্ষ ভাড়া নেন হৃদয়। বৃহস্পতিবার সকালেও তাকে নাশতা করতে দেখেছেন রিসোর্টের লোকজন।

কিন্তু দুপুরে বের না হওয়ায় খোঁজ নিতে তার কক্ষে নক করা হয়। অনেক চেষ্টার পরও দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে সিলিং ফ্যানে হৃদয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। পরে পরিবারের সদস্যরা জানান, একটি বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে ঝগড়া হয় হৃদয়ের। বিষয়টি নিয়ে মাকে একটি এসএমএসও করেছিলেন হৃদয়।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মিজানুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। বিস্তারিত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বলা যাবে।’

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীরুল গিয়াস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর