বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাবিতে ‘১৯৭১: অজানা গণহত্যা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

  •    
  • ২৪ মার্চ, ২০২২ ২৩:০০

ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় আমেরিকা, চীন এবং সৌদি আরব এ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। এদেশের গণহত্যার স্বীকৃতি দিলে তো তাদেরও বিচারের সম্মুখীন হতে হয়। এ কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের গণহত্যা স্বীকৃতি পেলেও এ দেশের গণহত্যার স্বীকৃতি দেয়া হয় না।’

মুক্তিযুদ্ধের সময় সাভারের ইছরকান্দি গ্রামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা নিয়ে ‘১৯৭১: অজানা গণহত্যা’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।

অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে বইটি লিখেছেন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের সাংবাদিক জি. এম. ফয়সাল আলম।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত এক প্রকাশনা উৎসবে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বইটির প্রকাশনা সংস্থা ‘অন্বেষা প্রকাশন’ এ আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুর রহমান বলেন, ‘যারা মুক্তিযুদ্ধকে স্বচক্ষে দেখেছেন, আগামী ১০ বছর পর হয়তো অনেকে থাকবেন না। তখন আমাদের একমাত্র অবলম্বন হবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা গ্রন্থগুলো। ইছরকান্দি একটা অনুন্নত এলাকা। মুক্তিযুদ্ধের সময় সেখানকার গণহত্যার কথা আজ ৫০ বছর পর উঠে আসল।’

তিনি বলেন, ‘একটি জাতি ও রাষ্ট্রের গৌরবময় ইতিহাস সেদেশের ভবিষ্যতের চালিকা শক্তি। এগুলো না থাকলে দেশ এগোতে পারে না। নতুন প্রজন্মকে এদেশের স্বাধীনতার পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস জানাতে হবে, তাহলে স্বাধীনতার মূল্য উপলব্ধি করে তারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে।’

ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় আমেরিকা, চীন এবং সৌদি আরব এ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। এদেশের গণহত্যার স্বীকৃতি দিলে তো তাদেরও বিচারের সম্মুখীন হতে হয়। এ কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের গণহত্যা স্বীকৃতি পেলেও এ দেশের গণহত্যার স্বীকৃতি দেয়া হয় না।’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হওয়ার পরও এদেশে গণহত্যার সঠিক হিসাব এখনও উঠে আসেনি। গণহত্যা জাদুঘরের এক জরিপে এখন পর্যন্ত দেশের ৩২টি জেলায় মোট গণহত্যা হয়েছে সাড়ে ১৬ হাজার, গণকবর পাওয়া গেছে ১ হাজার ৬০০টি এবং টর্চার সেল পাওয়া গেছে ৬০০টির মতো। এছাড়া দুর্ভিক্ষসহ বিভিন্ন কারণে প্রায় পাঁচ লাখ শরণার্থী মারা গেছেন। সারাদেশে এই জরিপ সম্পন্ন হলে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে।’

স্বাগত বক্তব্যে বইয়ের লেখক ফয়সাল আলম বলেন, ‘ইছরকান্দি গ্রামের মানুষেরা এই গণহত্যার স্বীকৃতির জন্যে বিভিন্ন স্থানে অনেক দৌঁড়ঝাপ করেছেন। তারা বিষয়টি আমাকে জানালে এটি নিয়ে আমি খোঁজখবর নেয়া শুরু করি এবং বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে অনুসন্ধানে নামি।’

তিনি বলেন, ‘অনুসন্ধান করতে গিয়ে আমরা মাত্র তিনটি ভুক্তভোগী পরিবারের দেখা পেয়েছিলাম। বাকিরা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। নিজের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে বিষয়টি নিয়ে আমি লিখেছি। এর মাধ্যমে একটা উদাহরণ সৃষ্টি করতে চাই, যেন এর মাধ্যমে এ ধরনের ঘটনা তুলে আনতে আরও মানুষ উৎসাহিত হন।’

অনুষ্ঠানের শুরুতে এই গণহত্যার অনুসন্ধান নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। এরপর অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে অতিথিদের শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর