সৌন্দর্যসেবা খাতে বিদ্যমান প্রতিকূল ভ্যাট ব্যবস্থা পূর্ণবিবেচনা ও ভ্যাটের হার শতকরা ৫ ভাগ করার দাবি জানিয়েছে বিউটি সার্ভিস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএসওএবি)।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশান ক্লাবে ‘মিট দ্য প্রেস’ সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিএসওএবি সভাপতি কানিজ আলমাস খান লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘এই খাত পরিচালনায় নিয়োজিত উদ্যোক্তাদের ৯৯ শতাংশই নারী। তারা এই শিল্প খাতে বিনিয়োগ করে কিংবা শ্রমের মাধ্যমে নিজের ও পরিবারের জীবনমানের উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে আশানুরূপ ভূমিকা রাখছেন। কিন্তু বিদ্যমান প্রতিকূল ভ্যাট ব্যবস্থা ও করোনার কারণে এ খাতে নাজুক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে ‘
তিনি আরও বলেন, ‘সৌন্দর্যসেবার মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে ওই বাড়ি ভাড়া, ইউটিলিটি ব্যয় ও যোগানদারের মূল্যসহ ভ্যাটযুক্ত মোট সেবামূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ হারে সরবরাহ ভ্যাট প্রদান করা হচ্ছে। ফলে ভ্যাটের ওপর ভ্যাট প্রদান করতে হচ্ছে। যার ফলে সৌন্দর্যসেবায় প্রায় ২৫ শতাংশ হারে ভ্যাট পরিশোধ করতে হচ্ছে- যা ভ্যাটের মৌলিক নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
‘বর্তমান অর্থবছরের বাজেটে প্রসাধনীর আমদানি পর্যায়ে করভার ১৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এতে পণ্যের দাম বেড়ে গিয়েছে। তাই সেবাপ্রদানের খরচও আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। আমরা ইতিমধ্যেই সৌন্দর্যসেবা শিল্পের ক্ষেত্রে ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ আরোপ করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছি। আশা করছি, এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা পাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনলাইনে যারা এই একই সেবা প্রদান করছেন তাদের মূল্য সংযোজন করের হার মাত্র ৫ শতাংশ। এ কারণে অবকাঠামো সহকারে যেসব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এই সেবা দিচ্ছে, তাদের ব্যবসার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তাই এ খাতে করের হার কমিয়ে ৫ শতাংশ করার জোর দাবি রাখছি।’