লোকসান থেকে বেরিয়ে আসা এবারও হলো না আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের। এবারও কোনো লভ্যাংশ পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা।
আগের তিন প্রান্তিকের ধারাবাহিকতায় চতুর্থ প্রান্তিকেও লোকসান দেয়া ব্যাংকটির লোকসান দাঁড়িয়েছে আগের বছরের দ্বিগুণ।
বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে লভ্যাংশ না দেয়ার এই সিদ্ধান্ত হয়।
চলতি বছর যেসব ব্যাংক লভ্যাংশ-সংক্রান্ত সভা করেছে তার মধ্যে এটিই প্রথম ব্যাংক, যারা কোনো লভ্যাংশ বিতরণ করতে পারছে না।
এখন পর্যন্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করা সব কটি ব্যাংকই মুনাফা বাড়াতে পেরেছে। তবে আগের বছর ভালো করার ইঙ্গিত দিয়ে এই বছরে আবার হোঁচট খেয়েছে এটি।
২০২০ সালে সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ২৮ পয়সা লোকসান দেয়া ব্যাংকটি গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান দিয়েছে ৫৯ পয়সা।
এর মধ্যে প্রথম প্রান্তিকে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ১৫ পয়সা, দ্বিতীয় প্রান্তিকে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ১৭ পয়সা, তৃতীয় প্রান্তিকে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৫ পয়সার পর চতুর্থ প্রান্তিকে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত লোকসান হয়েছে আরও ১২ পয়সা।
আগের বছর ব্যাংকটি লোকসান কমাতে পেরেছিল। চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লোকসানের পাশাপাশি ওই বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে প্রথমবারের মতো শেয়ারপ্রতি ১৭ পয়সা মুনাফা করে চমকও দেখিয়েছিল।
১৯৯০ সালে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটি পুঁজিবাজারে একমাত্র ব্যাংক, যেটি জেড ক্যাটাগরির। কোনো প্রতিষ্ঠান লভ্যাংশ না দিলে বা নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা না করলে সেটি জেড ক্যাটাগরিতে থাকে।
বর্তমানে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ৪ টাকা ৯০ পয়সায়। ২ শতাংশের বেশি দর কমতে পারবে না- পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির এমন সিদ্ধান্তের কারণে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমা সম্ভব নয়। তবে লভ্যাংশ-সংক্রান্ত ঘোষণার কারণে রোববার ব্যাংকটির দর বৃদ্ধি বা হ্রাসের কোনো সীমা থাকবে না।
এখন শেয়ারদর ৫ টাকার নিচে হলেও গত বছর জুনের শেষ থেকে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শেয়ারদর অস্বাভাবিক হারে বাড়ছিল। একপর্যায়ে তা ৭ টাকা ৪০ পয়সায় উঠে যায়, যা ছিল গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
আগামী ১৪ জুলাই ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১১ মে।