বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশে বিনিয়োগ দ্বিগুণ করতে চায় আইএফসি

  •    
  • ২৪ মার্চ, ২০২২ ১৯:৩২

‘আমরা জ্বালানির মিশ্র্রণ এবং সঞ্চালনের ক্ষেত্রে আরও কাজ করতে চাই। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক অঞ্চল, সবুজ, সাশ্রয়ী আবাসনে নতুন সুযোগ অনুসন্ধান করতে চাই। বাসযোগ্য ঢাকা শহর দিয়ে একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের বাংলাদেশের যাত্রা হবে এবং আমরা সাশ্রয়ী আবাসন খাত উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী যা অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে চায় বিশ্বব্যাংকের বিনিয়োগ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন বা আইএফসি। দেশের টেকসই পুনরুদ্ধার ত্বরান্বিত করা এবং সবুজ প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে নতুন এ বিনিয়োগ করা হবে।

আগামী পাঁচ বছরে সংস্থাটি ৫০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ করবে, যা দেশীয় মুদ্রায় ৪৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এই অর্থ হালকা প্রকৌশল, অর্থনৈতিক অঞ্চল, আর্থিক ও পুঁজিবাজার ও প্রবৃদ্ধি সহায়ক টেকসই অবকাঠামোতে বিনিয়োগের চিন্তা করছে সংস্থাটি।

দক্ষিণ এশিয়ায় আইএফসির আঞ্চলিক পরিচালক হেক্টর গোমেজ আং পাঁচ দিনের বাংলাদেশ সফর শেষে এমন মন্তব্য করেন বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এই সফরে তিনি ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সম্ভাব্য ক্রেতা ও অংশীদারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

সফরে গোমেজ অ্যাংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের জন্য আইএফসির কান্ট্রি ম্যানেজার মার্টিন হল্টম্যান এবং আইএফসি শিল্প বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সঙ্গে এক বৈঠক শেষে হেক্টর গোমেজ অ্যাং বলেন, ‘লক্ষ্য পূরণ করতে বাংলাদেশকে আরও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে হবে।’

তার মতে, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরোনো বা এলডিসি উত্তরণের পর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বাংলাদেশ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার পাশাপাশি বৈদেশিক বাণিজ্যিক ঋণ গ্রহণ করতে হবে, টেকসই উন্নয়নের জন্য এর বিকল্প নেই।

জ্বালানি এবং জ্বালানি সঞ্চালন এবং কোভিড-১৯ এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নীত করতে অবকাঠামো উন্নয়ন এবং সাশ্রয়ী আবাসন আইএফসির বিনিয়োগের অন্যতম ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করে গোমেজ আং বলেন, 'আইএফসি জ্বালানি বৈচিত্র্য উৎসাহিত করে এবং ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ২০ শতাংশের বেশি বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনে সহায়তা করেছে।

‘আমরা জ্বালানির মিশ্র্রণ এবং সঞ্চালনের ক্ষেত্রে আরও কাজ করতে চাই। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক অঞ্চল, সবুজ, সাশ্রয়ী আবাসনে নতুন সুযোগ অনুসন্ধান করতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘বাসযোগ্য ঢাকা শহর দিয়ে একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের বাংলাদেশের যাত্রা হবে এবং আমরা সাশ্রয়ী আবাসন খাত উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী যা অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

হেক্টর গোমেজ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আমরা আরও নিবিড়ভাবে কাজ করব বলে আশা করা যায়।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত কয়েক বছরে আইএফসি বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের উন্নয়নে বড় ভূমিকা পালন করেছে। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ নির্মাণেও ভূমিকা পালন করছে তারা।

আইএফসি ইতিমধ্যে বিকাশ, চালডাল, ট্রাক লাগবে ও সিটি ব্যাংকে ইকুইটি বিনিয়োগ করেছে। এতে দেশের ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়েছে।

গোমেজ আং বলেন, 'বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় এবং বাংলাদেশের টেকসই প্রবৃদ্ধিতে এবং উন্নয়নের পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে বেসরকারি খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে'।

মার্টিন হল্টমান বলেন, 'মহামারির প্রথম ১৮ মাসে আমরা ব্যবসায় সহায়তা করতে এবং কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখতে ৪৭০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছি। এসব বিনিয়োগ ব্যবসা সচল রাখতে, রপ্তানি পুনরায় শুরু করতে এবং কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করেছে৷ আমরা আগামী জুনে সমাপ্ত চলতি অর্থবছরের মধ্যে আরও ২৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।‘

২০১০ সাল থেকে আইএফসি বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের উন্নয়নে প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে। আগামী পাঁচ বছরে আইএফসির লক্ষ্যমাত্রা বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় খাতে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ কর্মসূচি, যার মধ্যে রয়েছে হালকা প্রকৌশল, অর্থনৈতিক অঞ্চল, আর্থিক ও পুঁজিবাজার এবং প্রবৃদ্ধি-সক্ষম টেকসই অবকাঠামো।

এ বছর বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সঙ্গে ৫০ বছরের অংশীদারিত্ব উদযাপন করছে। বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করতে বেসরকারি খাতে উৎসাহ দিতে আইএফসি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

এ বিভাগের আরো খবর