বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চট্টগ্রামে বসছে জিপিএসযুক্ত ফায়ার হাইড্রেন্ট

  •    
  • ২৪ মার্চ, ২০২২ ১৭:৫৫

আগুন নেভাতে পানি সরবরাহের জন্য চট্টগ্রামে নগরজুড়ে বসানো হচ্ছে ১৭৪টি ফায়ার হাইড্রেন্ট। এগুলোয় জিপিএস সুবিধা সংযুক্ত থাকবে, ফলে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিস সবচেয়ে কাছের ফায়ার হাইড্রেন্ট শনাক্ত করতে পারবে।

চট্টগ্রামের জহুর হকার্স মার্কেটে ৭০টি দোকান পুড়ে যায় সাপ্তাহিক বন্ধের দিন। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুতই সেখানে ছুটে গিয়েছিল ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট। কিন্তু আগুন নেভাতে গিয়ে রিজার্ভার ট্যাংকের পানি শেষ হয়ে গেলে বিপাকে পড়ে তারা। মার্কেটের আশপাশে নেই কোনো ফায়ার হাইড্রেন্ট। ঘটনাস্থল থেকে ৭০০ মিটার দূরে লালদীঘি মসজিদের পুকুর থেকে পানি এনে আগুন নেভানো হয়।

শহরের ভেতর আগুন নেভাতে গিয়ে পানির উৎসের জন্য প্রায়ই দিশেহারা অবস্থা হয় ফায়ার সার্ভিসের। এতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় বেশি লাগে, পাশাপাশি আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বেড়ে যায়।

চার দশক আগে নগরীর ২৪ হাজার পুকুর, দীঘি, জলাশয় ও জলাধার ছিল আগুন নেভানোর জন্য ফায়ার সার্ভিসের পানির উৎস। দখলে-দূষণে এখন বিলুপ্ত পানির এসব উৎস। বিকল্প উৎস ফায়ার হাইড্রেন্ট।

আগুন নেভাতে পানি সরবরাহের জন্য নগরজুড়ে বসানো হচ্ছে ১৭৪টি ফায়ার হাইড্রেন্ট। এগুলোয় জিপিএস সুবিধা সংযুক্ত থাকবে, ফলে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিস সবচেয়ে কাছের ফায়ার হাইড্রেন্ট শনাক্ত করতে পারবে।

দুটি প্রকল্পের আওতায় এসব আধুনিক ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। ইতোমধ্যে একটি প্রকল্পের আওতায় পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে গেছে ৩০টি ফায়ার হাইড্রেন্ট। অন্য প্রকল্পের ১৪৪টির মধ্যে ৯৬টি স্থাপনের কাজ শেষ। চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে বাকিগুলো বসানোর কাজ সম্পন্ন হবে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. ফারুক হোসেন সিকদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চট্টগ্রামে আগুন নেভাতে পানির প্রাকৃতিক উৎসগুলো সীমিত হয়ে এসেছে। অগ্নিকাণ্ডের সময় পানির জন্য আশপাশে কোনো পুকুর বা জলাশয় খুঁজে পাওয়া যায় না। ফায়ার হাইড্রেন্টগুলো স্থাপন হলে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। স্বস্তি মিলবে ফায়ার ফাইটারদেরও।’

চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপনের জন্য ৮৬টি স্থান নির্ধারণ করে নকশা প্রণয়নের জন্য ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সকে চিঠি দেয় ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। এর ভিত্তিতে দুটি প্রকল্পের অধীনে ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়।

ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ‘চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ ইমপ্রুভমেন্ট ও স্যানিটেশন প্রকল্পের’ অধীনে ২০১৮ সালে শহরে ৩০টি ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করা হয়েছে। এগুলো কার্যকর রয়েছে।

২০১৯ সালে কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প-২-এর অধীনে আরও ১৪৪টি ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপনের উদ্যোগ নেয় চট্টগ্রাম ওয়াসা। এই প্রকল্পের আওতায় নগরীতে ৭০০ কিলোমিটার পাইপলাইন নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হচ্ছে। পাইপলাইন স্থাপনের কাজ চলতি বছরের অক্টোবর নাগাদ শেষ হবে। এই পাইপলাইনের সঙ্গেই সংযোগ দেয়া হবে ফায়ার হাইড্রেন্টগুলোর। দুই প্রকল্পে ১৭৪টি ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপনে ২ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে।

চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওয়াসা নিজেদের উদ্যোগে দুটি প্রকল্পের অধীনে ১৭৪টি ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এখন পর্যন্ত ৯৪টি স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। ৩০টি কমিশনিং শেষ। যেকোনো সময় ফায়ার সার্ভিসকে বুঝিয়ে দেয়া যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর