বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফের শেষ বেলার উত্থানে স্বস্তি

  •    
  • ২৪ মার্চ, ২০২২ ১৫:০৫

আগের দিন সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া কেপিসিএলের দুটি, সামিটের একটি, ওরিয়ন ফার্মার সহযোগী প্রতিষ্ঠানের একটিসহ মোট পাঁচটি কেন্দ্র থেকে আরও দুই বছর বিদ্যুৎ কেনা হবে। পরের দিন পুঁজিবাজারে কেপিসিএল, সামিট পাওয়ার ও ওরিয়ন ফার্মা- তিন কোম্পানি মিলে যোগ করেছে ৭.৫৩ পয়েন্ট।

মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া কয়েকটি কেন্দ্র থেকে নতুন করে বিদ্যুৎ ক্রয়ের অনুমোদন দেয়ার পর দিনভর টানাটানি শেষে সূচক বেড়ে লেনদেন শেষ হয়েছে পুঁজিবাজারে।

যেসব কোম্পানির কারণে সূচকে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট যোগ হয়েছে, তার মধ্যে তিনটি ছিল এই ধরনের কোম্পানি।

বৃহস্পতিবার শুরু থেকেই বাজারে সূচকের উত্থান-পতন দেখা যায়। দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত সূচক আগের দিনের প্রায় সমান অবস্থানে থাকলেও এরপর দুপুর ১টা পর্যন্ত টানা পতন হয়। কিন্তু শেষ দেড় ঘণ্টায় ক্রয়ের চাপে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায় বাজার।

লেনদেন শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে আগের দিনের চেয়ে ১০ পয়েন্ট বেশি ছিল সূচক। তবে শেষ সময়ের সমন্বয়ে ২.৪৭ পয়েন্ট যোগ হয়ে শেষ হয় লেনদেন।

আগের দিন সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া কেপিসিএলের দুটি, সামিটের একটি, ওরিয়ন ফার্মার সহযোগী প্রতিষ্ঠানের একটিসহ মোট পাঁচটি কেন্দ্র থেকে আরও দুই বছর বিদ্যুৎ কেনা হবে।

পরের দিন পুঁজিবাজারে কেপিসিএল, সামিট পাওয়ার ও ওরিয়ন ফার্মা- এই তিন কোম্পানি মিলে যোগ করেছে ৫.৪১ পয়েন্ট।

সূচকে এই সামান্য পয়েন্ট যোগ হলেও সেটি বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে ভূমিকা রাখতে পারে।

এক দিনে শেয়ারের দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ থেকে আবার ১০ শতাংশ করা হচ্ছে- একটি জাতীয় দৈনিকে সুনির্দিষ্ট কারও বক্তব্য ছাড়া এমন একটি সংবাদ প্রকাশের পর গত রবি ও সোমবার পুঁজিবাজারে দেখা দেয় আতঙ্ক।

এর মধ্যে রোববার ঢালাও দরপতনের পর সোমবারও একই পথে ছিল পুঁজিবাজার। তবে শেষ ঘণ্টায় দেখা দেয় ক্রয়চাপ। এভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয়ার পর পরের দিন দেখা যায় উত্থান।

দিনভর উঠানামা শেষে একেবারে শেষ বেলায় ক্রয়চাপে সূচক বেড়েছে বৃহস্পতিবার

এর মধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি থেকে নিশ্চিত করা হয়, এ ধরনের পরিকল্পনা আপাতত নেই। এতে মঙ্গলবার বাজার ঘুরে দাঁড়ালেও বুধবার আবার দরপতনে চিন্তার ভাঁজ তৈরি হয় বিনিয়োগকারীদের কপালে।

লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কম হয়েছে। সূচকের মতো লেনদেনের এই সিংহভাগই হয়েছে একেবারে শেষ বেলায়। দুপুর সোয়া ১টার দিকেও লেনদেন চার শ কোটি টাকার কম ছিল।

দিন শেষে বেড়েছে ১৪৩টি কোম্পানির শেয়ারদর, কমেছে ১৭১টির। দর ধরে রাখতে পেরেছে ৬৫টি কোম্পানি।

খাত হিসেবে সবচেয়ে বেশি চাঙা ছিল সিমেন্ট, কাগজ ও প্রকাশনা এবং বিমা। এসব খাতের বেশির ভাগ শেয়ারের দর বেড়েছে।

বিদ্যুৎ জ্বালানি, খাদ্য ও প্রকৌশল এবং ব্যাংক খাতে দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা। বাকি প্রায় সব খাতের বেশির ভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে।

সূচক বাড়াল যেসব কোম্পানি

সব মিলিয়ে ১০টি কোম্পানি সূচকে যোগ করেছে ১৩.৮৫ পয়েন্ট।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২.৬১ পয়েন্ট যোগ করেছে খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড বা কেপিসিএল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১.৮৯ পয়েন্ট যোগ করেছে ওরিয়ন ফার্মা।

এছাড়া লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট ১.৭২ পয়েন্ট, ফরচুন সুজ ১.৫৯ পয়েন্ট, গ্রামীণ ফোন ১.৪৩ পয়েন্ট, বসুন্ধরা পেপার মিলস ১.০৩ পয়েন্ট, বার্জার পেইন্টস ১ পয়েন্ট যোগ করেছে।

এছাড়া সামিট পাওয়ার ০.৯১ পয়েন্ট, ইউনাইটেড পাওয়ার ০.৮৬ পয়েন্ট এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক বা ইউসিবি যোগ করেছে ০.৮১ পয়েন্ট।

এর বিপরীতে সূচক ২০.০২ পয়েন্ট কমিয়েছে ১০টি কোম্পানি। এর মধ্যে রবির শেয়ারের ১.১৭ শতাংশ দরপতনে সূচক থেকে কমেছে সবচেয়ে বেশি ৪.৪৪ পয়েন্ট কমেছে।

বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানির শেয়ারের ০.৫১ শতাংশ দরপতনে সূচক থেকে কমেছে ৩.৪৩ পয়েন্ট।

এছাড়া রেনাটার দরপতনে ৩.৩৪ পয়েন্ট, বেক্সিমকো লিমিটেডের দরপতনে ২.৯৭ পয়েন্ট, আইসিবির দরপতনে ১.৮৮ পয়েন্ট, পূবালী ব্যাংকের দরপতনে ০.৮৭ পয়েন্ট, তিতাস গ্যাসের দরপতনে ০.৮৪ পয়েন্ট, বিএসআরএম লিমিটেড ও বেক্সিমকো ফার্মার দরপতনে ০.৭৬ পয়েন্ট করে এবং সোনালী পেপারের দরপতনে ০.৭৩ পয়েন্ট সূচক কমেছে।

কেপিসিএলে মাতোয়ারা

গত বছরের মে মাসে দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির ভবিষ্যত নিয়ে হতাশ হয়ে পড়ে। কুইকরেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রড়ুলো যে আইনের অধীনে অনুমোদন দেয়া হয়, গত সেপ্টেম্বরে সেই আইনের মেয়াদ বাড়ানোর পরও কেন্দ্রগুলো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আটকে ছিল।

বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাঁচটি কেন্দ্র থেকে আরও দুই বছর বিদ্যুৎ কেনার সিদ্ধান্ত হয়। এসব কেন্দ্রের মধ্যে দুটি কেপিসিএলের। এই দুটি কেন্দ্রের সম্মিলিত উৎপাদনক্ষমতা ১১৫ মেগাওয়াট।

এই তথ্যে এই কোম্পানিটির শেয়ার মূল্য বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত। আগের দিন শেয়ার প্রতি দর ছিল ৩১ টাকা ৯০ পয়সা। এক দিনে বাড়ার সুযোগ ছিল ৩ টাকা ১০ পয়সা। বেড়েছেও ততটাই। ৩৫ টাকা সর্বোচ্চ দরেও যত ক্রেতা ছিল, তত বিক্রেতাও ছিল না।

কেপিসিএলের মতো সামিট পাওয়ারের দর অতটা বাড়েনি। এই কোম্পানিটির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া ১০২ মেগাওয়াটের একটি কেন্দ্র থেকে আবার বিদ্যুৎ কিনবে সরকার। তবে কোম্পানিটির আরও অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে।

কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪০ পয়সা বা ১.০৩ শতাংশ বেড়েছে।

সরকারের বিদ্যুৎ কেনার সুবিধাভোগী আরেক কোম্পানি ওরিয়ন ফার্মার দর বেড়েছে ৩ টাকা ৮০ পয়সা বা ৩.৭০ শতাংশ। এই কোম্পানির সহযোগী কোম্পানি ওরিয়ন পাওয়ার মেঘনাঘাট কেন্দ্রটি ১০০ মেগাওয়াটের।

তবে সর্বাধিক দর বৃদ্ধির তালিকায় এই তিনটির মধ্যে কেবল কেপিসিএল ছিল।

শীর্ষ দশের অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ওয়াইমেক্স ও মেঘনা সিমেন্টের দর ৮ শতাংশের বেশি, কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৭ শতাংশের বেশি, দুই দিন ৬ শতাংশের বেশি, তিনটির দর ৫ শতাংশের বেশি, এবং একটির দর প্রায় ৫ শতাংশ বেড়েছে।

সর্বোচ্চ পতন ২০টির বেশি কোম্পানি

সর্বোচ্চ ২ শতাংশ বা তার আশেপাশে দর হারিয়েছে এমন কোম্পানির সংখ্যা ৩০টিরও বেশি। এর মধ্যে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে লেনদেন হয়েছে ২০টির বেশি কোম্পানি।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১.৯৮ শতাংশ দর হারিয়েছে ভিএসএফ থ্রেড। প্রায় সমপরিমাণ দর হারিয়েছে বিডিওয়েল্ডিং, জুন স্পিনার্স, এটলাস বাংলাদেশ, আইপিডিসি, এনভয় টেক্সটাইল, ‍দুলামিয়া কটন, সিএপিএম আইবিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও একমি পেস্ট্রিসাইডসের দর।

এ বিভাগের আরো খবর