বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রাথমিকে নিয়োগ পরীক্ষা রাজধানীতে নেয়ার দাবি

  •    
  • ২৪ মার্চ, ২০২২ ১৪:০৮

মানববন্ধনে চাকরিপ্রত্যাশীরা জানান, এর আগে জেলায় অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল। এতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়েছে। এছাড়া, জেলায় পরীক্ষার ক্ষেত্রে কেন্দ্র দখল এবং স্থানীয় সরকার দলীয় নেতাদের প্রভাব বিস্তারের ঘটনাও ঘটে। সে কারণে আমরা পরীক্ষার কেন্দ্র রাজধানী ঢাকায় চাই।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় নেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে শতাধিক চাকুরি প্রত্যাশীরা।

বৃহস্পতিবার মিরপুর-২ এ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে।

মানববন্ধনে চাকরিপ্রত্যাশীরা জানান, এর আগে জেলায় অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল। এতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়েছে। এছাড়া, জেলায় পরীক্ষার ক্ষেত্রে কেন্দ্র দখল এবং স্থানীয় সরকার দলীয় নেতাদের প্রভাব বিস্তারের ঘটনাও ঘটে। সে কারণে আমরা পরীক্ষার কেন্দ্র রাজধানী ঢাকায় চাই।

তারা আরও বলেন, আমরা এই বিষয়ে আজ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাদের জানিয়েছেন, আমাদের সমস্যার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী অবগত আছেন। আগামী মাসের পরীক্ষাকে সামনে রেখে তিনি আমাদের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। আমাদের দাবির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

চাকুরিপ্রত্যাশীরা আরও দাবি করেন, প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দুর্নীতিমুক্ত করতে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় পরীক্ষা নেয়ার বিকল্প নেই।

এর আগে গত ২১ মার্চ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায়, নাকি জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।

বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর চাইছে লিখিত পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে শুধু ঢাকায় অনুষ্ঠিত হোক। অন্যদিকে, জেলা পর্যায়ে পরীক্ষার পক্ষে অবস্থান নেন মন্ত্রণালয়ের কয়েক কর্মকর্তা।

এর আগে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলমের সই করা পরীক্ষার কেন্দ্র নির্বাচনসংক্রান্ত চিঠিতে আগামী ৮ এপ্রিল থেকে নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর কথা বলা হয়েছিল।

চিঠিতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ ২০২০-এর লিখিত পরীক্ষা আগামী ৮, ১৫ ও ২২ এপ্রিল এবং ১৩ মে বিকেল ৩টায় গ্রহণ করা হবে।

এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের জুলাই মাসের মধ্যে নিয়োগ দেয়ার কথা ছিল।

সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। করোনা মহামারির কারণে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে অবসরজনিত কারণে আরও ১০ হাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়ে পড়েছে। এতে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ সমস্যার সমাধানে মন্ত্রণালয় আগের বিজ্ঞপ্তির শূন্য পদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্য পদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী প্রার্থীদের বয়স বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন থেকে সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং করোনার কারণে সাধারণ ছুটি শুরুর তারিখ অর্থাৎ গত বছরের ২৫ মার্চ পর্যন্ত যাদের বয়স সর্বোচ্চ ৩০ বছর, তারা আবেদন করতে পারবেন। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে এ বয়সসীমা হবে ৩২ বছর।

প্রাথমিকের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর শুরু হয় এ পদের অনলাইনে আবেদন। এতে আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ চাকরিপ্রার্থী। সে হিসাবে ১টি পদের জন্য প্রতিযোগিতা হবে ২৯ চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে।

এ বিভাগের আরো খবর