মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সাতক্ষীরার দুই জামায়াত নেতার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর আনন্দ মিছিল হয়েছে তাদের নিজ জেলায়।
সাতক্ষীরা শহরের আব্দুর রাজ্জাক পার্ক থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে আনন্দ মিছিল বের করে জেলা ছাত্রলীগ। মিছিলের নেতৃত্ব দেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান আশিক ও সাধারণ সম্পাদক সুমন হোসেন। আনন্দ মিছিলে অংশ নেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ চৌধুরী, যুদ্ধাপরাধ মামলার সাক্ষী হাফিজুর রহমান মাছুম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত হোসেন, ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।
দণ্ডিত জামায়াত নেতা আব্দুল খালেক মণ্ডল সাতক্ষীরা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সদর উপজেলার বৈকারী ইউনিয়নের খলিলনগর গ্রামের বাসিন্দা। অপর আসামি জামায়াত নেতা খান রোকনুজ্জামান শহরের পলাশপোল এলাকার বাসিন্দা। তিনি সাতক্ষীরা নবজীবন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা।
মামলার রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান আশিক বলেন, ‘৭১’ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাতক্ষীরার দুই জামায়াত নেতার সর্বোচ্চ শাস্তি হয়েছে। বিচার বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমরা এই রায়ে আনন্দ প্রকাশ করছি। একই সঙ্গে সরকারের কাছে দ্রুত এই রায় কার্যকর করার দাবি করছি।’
যুদ্ধাপরাধ মামলার সাক্ষী হাফিজুর রহমান মাছুম বলেন, ‘এই জামায়াত নেতারা যুদ্ধের সময় ও যুদ্ধ পরবর্তী হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট করেছে। ট্রাইব্যুনালে সাক্ষীরা এসব অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছে। ফলে আজকের এই প্রত্যাশিত রায়। এই রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরার মানুষ কলঙ্কমুক্ত হবে।’
জামায়াত নেতার রায়কে ঘিরে সাতক্ষীরা শহরসহ বৈকারী এলাকায় বিভিন্নস্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।