জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হলো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২২’। এর মধ্যে তিন ব্যক্তি পেয়েছেন মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার।
তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার বিজয়ীদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখায় স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (মরণোত্তর), বীর বিক্রম শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক (মরণোত্তর)।
একই ক্যাটাগরিতে স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদদীন আহমেদ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল। প্রধানমন্ত্রী মূল মঞ্চ ছেড়ে দর্শক সারিতে গিয়ে তাদের দুজনের হাতে তুলে দেন স্বাধীনতা পুরস্কার।
চিকিৎসাবিদ্যায় অবদান রাখায় স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া ও অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল ইসলাম।
নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে এসে কনক বড়ুয়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী ও তড়িৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা এবং অসাধারণ ব্যবস্থাপনার কারণে দেশ করোনা মহামারির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।’
উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা অব্যাহত রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অবশ্যই সুখী ও সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত হবে বলেও মন্তব্য করেন এ চিকিৎসক।
স্থাপত্যে অনন্য অবদান রাখায় মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হয় স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেনকে। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধের স্থপতি।
গবেষণা ও প্রশিক্ষণে অবদান রাখায় বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটকে (বিডব্লিউএমআরআই) দেয়া হয় স্বাধীনতা পুরস্কার। প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক গোলাম ফারুক।
মুজিববর্ষে শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। পুরস্কার নেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
পরে পুরস্কার নেয়া সবার সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন সরকারপ্রধান।