২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
তিন দিন আগেই সৌধ এলাকায় অপরিচিতদের প্রবেশাধিকার একেবারেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে গণপূর্ত বিভাগ। পাশাপাশি জাতীয় স্মৃতিসৌধের আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের তথ্য চেয়ে সতর্ক করে লিফলেট বিতরণসহ মাইকিং করেছে পুলিশ।
সাভার গণপূর্ত বিভাগের জাতীয় স্মৃতিসৌধের উপসহাকরী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বুধবার রাতে স্মৃতিসৌধে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধের বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য গত ১৬ মার্চ থেকে জনসাধারণের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরপর ২২ মার্চ এসএসএফের মিটিংয়ের পর এই নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।
‘কোন প্রকার অপরিচিত ব্যক্তিকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। মিডিয়াকর্মীসহ কাউকেই এ্যালাউ করা হচ্ছে না। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের নিরাপত্তা ব্যবস্থাটা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে করা হচ্ছে। এ বছর স্মৃতিসৌধের কর্মীদের পরিবারকেও ভিতরে থাকতে দেয়া হচ্ছে না।’
এদিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকার নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে সচেতনতামূলক মাইকিংসহ লিফলেট বিতরণ করেছে পুলিশ।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জাতীয় স্মৃতিসৌধের নিরাপত্তা জোরদারের জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সৌধ এলাকার আশপাশের বাসিন্দাদের আগামী দুই দিনের মধ্যে বিট পুলিশের ফরম পূরণ করে নির্ধারিত থানায় জমা দিতে বলা হয়েছে।’
‘এক্ষেত্রে বাড়ির মালিক, তার পরিবার ও ভাড়াটিয়াদের এক কপি করে পাসপোর্ট সাইজের ছবি জমা দিতে হবে। ২৬ মার্চের আগে কোন প্রকার আত্মীয়-স্বজন ও নতুন ভাড়াটিয়াদের বাসায় আশ্রয় দিতে নিষেধ করা হয়েছে।’
স্বল্প সময়ের জন্য কোনো স্বজন আসলে দ্রুত পুলিশকে জানানোর অনুরোধ কথা হয়েছে। তা না হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।