বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১০ বছরেও শেষ হয়নি কেরুর বিএমআরই প্রকল্পের কাজ

  •    
  • ২৪ মার্চ, ২০২২ ০৯:১০

মদের পাশাপাশি ভিনেগার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, জৈব সার, চিনির মতো পণ্যও উৎপাদন করে থাকে কেরু। এর অন্যান্য ইউনিটে কমবেশি লাভ হলেও প্রতিবারই লোকসান হয় চিনি ইউনিটে।

চাহিদা বাড়ায় মদের বেচাবিক্রিতে দ্বিগুণ লাভ হলেও চিনি উৎপাদনে এখনও লোকসানে রয়েছে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড।

২০২০-২১ অর্থবছরে শুধু মদ বিক্রি করে ৯৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা মুনাফা করেছে বলে দাবি দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় মদ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ প্রতিষ্ঠানটির। যদিও এর আগে বলা হয়েছিল, এ মুনাফার পরিমাণ ১৯৫ কোটি টাকা। মদের পাশাপাশি ভিনেগার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, জৈব সার, চিনির মতো পণ্যও উৎপাদন করে থাকে কেরু। এর অন্যান্য ইউনিটে কমবেশি লাভ হলেও প্রতিবারই লোকসান হয় চিনি ইউনিটে।

চলতি মাড়াই মৌসুমে তুলনামূলক কম আখ মাড়াই হয়েছে কেরুতে। গত ২০২০-২০২১ মাড়াই মৌসুমে চিনি উৎপাদনে ৭৬ কোটি টাকা লোকসান হলেও এ বছর তা ছাড়িয়ে যাবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গত কয়েক বছরে চিনি ইউনিটের পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৪২ দশমিক ৭৯ কোটি টাকা। চিনি ইউনিট লাভজনক করার লক্ষ্যে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয় ৮৩ বছরেরও বেশি পুরনো প্রতিষ্ঠানটি। ২০১২ সালের জুলাইয়ে কেরুর ভারসাম্য, আধুনিকীকরণ, পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। যার কাজ শেষ হয়নি গত ১০ বছরেও।

প্রকল্পের মেয়াদ কয়েক দফায় বাড়িয়ে করা হয়েছে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্পটির মেয়াদকাল আরও ১ বছর বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে কেরু কর্তৃপক্ষ।

দর্শনা কেরু সূত্রে জানা গেছে, ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের উন্নয়নের লক্ষ্যে ভারসাম্য, আধুনিকীকরণ, পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণে ১০২ কোটি ২১ লাখ ৩৮ হাজার টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। ২০১২ সালের জুলাইয়ে শুরু হয় ব্যালেন্সিং মর্ডানাইজেশন রেনোভেশন এ্যান্ড এক্সপেনশন (বিএমআরই) প্রকল্পের কাজ। ২০১৩-২০১৪ সালে চুক্তি হয় বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেডের সঙ্গে।

তবে, প্রকল্পটির মূল কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালে। ২০১৬ সালে শেষ হয় প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ। পরবর্তীতে কিছু কাজ সংযোজনের জন্য ২০১৮ সালে প্রকল্পটি সংশোধনের প্রস্তাব দেয়া হয়। এতে নতুন মিল হাউজ, আধুনিক আরও একটি টার্বাইন বসানো, সুগার জার স্থাপন, সুগার প্যান বসানোসহ অনেক কিছু সংযোজন করা হয়।

ওই বছরের ৪ নভেম্বর সংশোধিত প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। পরে আবারও চুক্তি হয় বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেডের সঙ্গে।

সূত্রটি আরও জানায়, বর্তমানে প্রকল্পটির প্রথম পর্যায় ও শেষ পর্যায়ের কিছু কাজ বাকি রয়েছে। মেশিন ফাউন্ডেশনের কাজ ৮০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। মালামাল অর্ধেকের বেশি চলে এসেছে। ইতিমধ্যে কেরুর বিএমআরই প্রকল্পের কাজ ৬০ ভাগ শেষ হয়েছে। পুরো কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ কয়েক দফায় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

বাকি কাজ সম্পন্ন করতে প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে আরও ১ বছর। প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে পড়ার কারণ, মহামারি করোনাভাইরাসের প্রদুর্ভাবের কারণে ২ বছর বন্ধ ছিল।

এ বিষয়ে কেরুর বিএমআরই প্রকল্পের পরিচালক ফিদা হাসান বাদশা বলেন, ‘প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। বর্তমানে মেশিন ফাউন্ডেশনের কাজ চলছে। ভারত থেকে কিছু মালামাল যশোর বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছেছে। সেখানে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে দর্শনা কেরুতে নিয়ে আসা হবে।

‘প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। কাজ শেষ না হলে মেয়াদ আরও ১ বছর বাড়ানো হতে পারে।’

এটি প্লানিং কমিশনের বিষয় জানিয়ে তিনি বলেন, প্রকল্পের কাজ শেষ হলে দ্বিগুণ উৎপাদন বাড়বে কেরুতে। বারবার লোকসানে থাকা চিনি ইউনিটেও লাভ করবে প্রতিষ্ঠানটি।’

এ বিভাগের আরো খবর