বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নির্মাণসামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, ঠিকাদারদের প্রতিবাদ

  •    
  • ২৪ মার্চ, ২০২২ ০১:৫৭

চট্টগ্রাম সম্মিলিত ঠিকাদার ফোরামের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান টিটু বলেন, ‘চট্টগ্রামে ঠিকাদার রয়েছে প্রায় তিন হাজার। সবাই সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নকাজের অংশীদার। হঠাৎ করে গত ৯ মাস থেকে পর্যায়ক্রমে এবং গত ২ মাস থেকে নির্মাণসামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে ঠিকাদাররা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অনেকেই ব্যাংকঋণসহ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কায় আছেন।’

৯ মাসের ব্যবধানে নির্মাণসামগ্রীর ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে দাবি করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সম্মিলিত ঠিকাদার ফোরাম।

তাদের অভিযোগ, এতে চট্টগ্রাম এলজিইডি, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত বিভাগ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, বাংলাদেশ রেলওয়ে, জনস্বাস্থ্য এইচ ই ডিসহ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নকাজ বন্ধ হওয়ার পথে।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে বুধবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন সংগঠনটির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান টিটু।

সংবাদ সম্মেলনের আগে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে ‘সম্মিলিত ঠিকাদার ফোরাম’।

লিখিত বক্তব্যে আসাদুজ্জামান টিটু বলেন, ‘চট্টগ্রামে ঠিকাদার রয়েছে প্রায় তিন হাজার। সবাই সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নকাজের অংশীদার। হঠাৎ করে গত ৯ মাস থেকে পর্যায়ক্রমে এবং গত ২ মাস থেকে নির্মাণসামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে ঠিকাদাররা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অনেকেই ব্যাংকঋণসহ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কায় আছেন। একই সময়ে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়েছে বৈদ্যুতিক, হার্ডওয়্যার, স্যানিটারিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম। নির্মাণ শ্রমিকের মজুরিও বর্তমানে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা প্রতিজন।

‘এতে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। নির্মাণকাজে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ওয়েল কোম্পানি উৎপাদিত বিটুমিন ব্যবহার করা হতো। বিদেশ থেকে বিটুমিন আমদানিকারকদের কারসাজির কারণে দেশীয় বিটুমিনের সরবরাহ চাহিদার তুলনায় একেবারেই কমে গেছে। এ ছাড়া ড্রাম সংকট দেখিয়ে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ওয়েল কোম্পানি চাহিদা অনুযায়ী বিটুমিন সরবরাহ করছে না। ফলে বাজার সংকট দেখিয়ে বিটুমিন বিক্রি হচ্ছে প্রতি ড্রাম ১১ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা। এতে নির্মাণ খরচ ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় বেকাদায় পড়েছেন ঠিকাদাররা।’

আসাদুজ্জামান টিটু বলেন, ‘সরকারের চলমান কিছু প্রকল্প ২০১৪ সালের এবং কিছু প্রকল্প ২০১৮ সালের রেইট সিডিউল অনুযায়ী তৈরি করা। এলজিইডি ২০১৯ সালে রেইট সিডিউল করেছিল। আজ প্রায় ৩ থেকে ৪ বছর নতুন কোনো রেইট সিডিউল তৈরি করা হয়নি। তাই পুরাতন রেটে কাজ করে ঠিকাদাররা প্রচুর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এবং অনেক ঠিকাদার দেউলিয়া হওয়ার পথে।’

তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে গণপূর্তে এর রেট সিডিউলে এবং ২০১৯ সালের এলজিইডিসহ বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের রেট সিডিউলে ভ্যাট ৬ শতাংশ এবং আয়কর ছিল ৫ শতাংশ। বর্তমানে নতুন রেট সিডিউল না হওয়ার কারণে ভ্যাট ও আয়কর রেটের সঙ্গে সংযোজন না করে ভ্যাট ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং আয়কর ৭ শতাংশ করে কাটা হচ্ছে, যা ঠিকাদারদের সঙ্গে চুক্তির বহির্ভূত।’

এই অবস্থা থেকে উত্তরণে নির্মাণসামগ্রীর মূল্য কমানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এলজিইডি ঠিকাদার সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন সুফল, আলী হোসেন, জসিম উদ্দিন, মহসিন হায়দার, নজরুল ইসলামসহ অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর